ক্যানিং, ৫ এপ্রিল (হি. স.) : রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া এবং রিষরাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সুকৌশলে ঘটনা হয়েছে, শাসক দলের ভোটব্যাঙ্ক কমতে বসেছে, সেই কারণে সেই ভোট ব্যাংকে সুকৌশলে বাড়ানোর জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি এলাকায় আইএসএফের একটি কর্মী বৈঠকে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন নওশাদ। এছাড়াও এদিন কর্মীসভার মঞ্চ থেকে একের পর এক শাসকদলকে বেধেন এই আইএসএফ নেতা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্মীদেরকে সংযত ও সচেতন থাকার বার্তা দেন নওশাদ। এদিন তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমরা কাটমানির রাজনীতি করতে আসিনি, আমরা এলাকার উন্নয়ন করতে এসেছি। আমাদের দেখে শাসক ভয় পেয়েছে, শাসককে ভয় পাওয়ানো আমাদের কর্তব্য। এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করতে এসেছেন বলে জানান নওশাদ। সম্প্রতি রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা কে কেন্দ্র করে নওশাদ বলেন, সুকৌশলে ভোট ব্যাংকে ধরে রাখার জন্য এই অরাজকতা ঘটানো হচ্ছে না তো?
পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ যে প্রার্থী দেবে তাদের সম্পত্তির খতিয়ান রাজ্য অফিসে জমা রাখা হবে। ভোটে জিতলে সেই প্রার্থীর সম্পত্তির হিসেব প্রত্যেক বছর রাজ্য অফিসে জমা দিতে হবে। ভোটে জেতার পর দুর্নীতি করে অর্থ কামালে তাকে সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে প্রার্থী পদ খারিজ করা হবে বলেও কর্মীদের বার্তা দেন নওশাদ। সমস্ত আইএসএফ কর্মীকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, এলাকায় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এই বার্তা দেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ কারও সাথে জোট করবে কিনা সে বিষয়টা এখনো পরিষ্কার নয়, তবে বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে এদিন জানান নওশাদ।

