BRAKING NEWS

হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ৪১তম আগরতলা বইমেলা সমাপ্ত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলে বইমেলা : বিধানসভার অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ এপ্রিল৷৷  ৪১তম আগরতলা বইমেলার আজ সমাপ্তি অনুষ্ঠান৷ তাই মেলার সর্বত্রই একটা বিষাদের ছোঁয়া৷ ঠিক যেন বিজয়া দশমীর মতো৷ বইমেলা হচ্ছে একটা অন্যতম উৎসব বা পার্বণ৷ দুর্গাপূজার মতোই প্রতি বছর আমরা বইমেলার অপেক্ষা করে থাকি৷ আজ ৪১তম আগরতলা বইমেলার সম্মাননা ’াপন ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে একথা বলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেন৷ সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলে বইমেলা৷ রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সৃষ্টি আজও আমাদের আলোড়িত করে৷ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, মানব সভ্যতা যতদিন আছে ততদিন বই পড়তে হবে৷ এর কোনও বিকল্প নেই৷ বই পড়ার যত ধরনের পদ্ধতি থাকুক কনভেনশনাল বা প্রচলিত বই-ই চিরন্তন৷ পৃথিবীকে জানতে হলে বই পড়তেই হবে৷ তিনি বলেন, প্রচলিত বইয়ে লেখক ও পাঠক মুখোমুখি থাকেন৷ এই প্রচলিত বই নিয়েই বইমেলার আসর বসে৷
৪১তম আগরতলা বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী একুশে পদকপ্রাপক সুুভাষ সিংহ রায় বলেন, আগরতলা আমার কাছে এক অনুভূতির জায়গা৷ মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িয়ে আছে আগরতলার নাম৷ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিয়েছিলেন আগরতলায়৷ এই শহরের কাছে আমাদের ক’ত’তার শেষ নেই৷ পরবর্তী আগরতলা বইমেলার একটি দিন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করার জন্য তিনি আবেদন রাখেন৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস৷ তাছাড়াও বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিনা রাণী সরকার, অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যাণ্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী, ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক অজিত দেববর্মা এবং পাবলিশার্স ও বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাখাল মজমদার৷ বইমেলার দ্বাদশ দিনে গতকাল ১৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৭১ টাকার বই বিক্রি হয়েছে৷ এই ১২ দিনে মোট বই বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৫ টাকার৷
বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সমাজ, সাহিত্য, সংস্ক’তি, সংগীত ও কলাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৭জন ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা ’াপন করা হয়৷ এবারের মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর ম’তি পুরস্কার পেয়েছেন যীষ্ণু দেববর্মা৷ তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেন৷ মরণোত্তর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জাতীয় সংহতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় ডা. এইচ এস রায় চৌধুরীকে৷ তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন পুত্র হোমাগি শংকর রায় চৌধুরী৷
মরণোত্তর অটল বিহারী বাজপেয়ী আজীবন ম’তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় ভূপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ভৌমিককে৷ তাঁর হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন পুত্র বিরাট দত্ত ভৌমিক৷ মরণোত্তর শচীন দেববর্মণ ম’তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় হরেক’ষ্ণ রায়কে৷ তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ম’ রায়৷ এছাড়াও দেববত ভ-াচার্যকে ধীরেন্দ্র ক’ষ্ণ দেববর্মণ ম’তি পুরস্কার, জ্যোতির্ময় দাসকে সলিল ক’ষ্ণ দেববর্মণ ম’তি পুরস্কার, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসকে কালীকিংকর দেববর্মণ ম’তি পুরস্কার, রামক’ষ্ণ দেবনাথকে ত্রিপুরেশ মজমদার ম’তি পুরস্কার, শ্যামলী দেববর্মাকে ভীমদেব ভ-াচার্য ম’তি পুরস্কার, ডা. উত্তম সাহাকে লালন পুরস্কার, সুুমন্ত কুমার ত্রিপুরাকে অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস ম’তি যুব পুরস্কার, যদু ভূষণ শুক্লদাসকে অজিত মজমদার ম’তি যুব পুরস্কার, অজয় দেবনাথকে সত্যরাম রিয়াং যুব পুরস্কার ও রাজেশ সিনহাকে সুুমঙ্গল সেন ম’তি যুব পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া ত্রিপুরা বাণী প্রকাশনীকে শ্রেষ্ঠ বাংলা বই প্রকাশনার জন্য রাধামোহন ঠাকুর ম’তি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ ককবরক প্রকাশনার জন্য পেনস্টার পাবলিকেশনকে দৌলত আহমেদ ম’তি পুরস্কার এবং বাংলা ও ককবরক ব্যতীত শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার জন্য ফুরবাড়েঙ প্রকাশনীকে পুরস্ক’ত করা হয়েছে৷ বইমেলায় মণ্ডপ সজ্জার জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও ত’তীয় পুরস্কার পেয়েছে পারুল প্রকাশনী, নীহারিকা ও পারুল লাইবেরি৷ উপস্থিত অতিথিগণ তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *