ঢাকা, ১ এপ্রিল (হি.স): মিথ্যা খবর করায় বাংলাদেশে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের গ্রেফতারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। এসময় পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের কুশপুতুল দাহ করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
কর্মসূচির ব্যানারে ‘সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলুদ সাংবাদিকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাংলাদেশের সনামধন্য রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিশু হত্যার মূল হোতা, ১৯৪৭ সালের টাকার বিনিময় বাসন্তী নামের একটি মেয়েকে জাল পড়িয়ে ছবি ছাপিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে ছোট করা ন্যায় নতুন ঘটনার সৃষ্টি, চাইল্ড এক্সপোলিটেইশনের দায়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গুজব চর্চায় লিপ্ত মতিউর রহমানকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিতের দাবি’ জানানো হয়।
এসময় অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রথম আলো সব সময়ই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব দেখে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা এর বিচার চাই। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো অপরাধ করেছে। আমরা প্রথম আলো সম্পাদকের বিচার চাই।
উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ, বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের একজন বাদী হয়ে বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, ২৬ মার্চ একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, ওই শিশুটির নাম জাকির হোসেন। পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো।’
এজাহারে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। সংবাদটি দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালি গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদটিযে মিথ্যা তা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়।

