জলবায়ু পরিবর্তনে মানব স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে সতর্ক থাকার আহ্বান

শিলচর (অসম) ১৮ মার্চ (হি.স.) : কাছাড়ের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে শনিবার শিলচরে জেলা উপাযুক্তের সভাকক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানব স্বাস্থ্যে প্রভাব সম্পর্কিত জাতীয় কর্মসূচির উপর আন্তঃবিভাগীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় । অতিরিক্ত উপায়ুক্ত যুবরাজ বড় ঠাকুরের পৌরোহিত্যে সভায় জেলার সব শীর্ষ বিভাগীয় আধিকারিকর অংশ নেন । সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি এবং জলবায়ু এবং মানব স্বাস্থ্যের উপর আলোচনা করা হয় ।

এতে স্বাস্থ্য, কৃষি, জনসাস্থ কারিগরি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পশুপালন, পিএইচইডি, গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ বিভাগ, ফুড সেফটি , ড্রাগ ইন্সপেক্টরের অফিস প্রধানদের উপস্থিতিতে আইডিএসপি ডিএসও ডাঃ ইব্রাহিম আলী ব্যাখ্যা করেন যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিশ্বের জলবায়ুকে প্রভাবিত করছে এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর এর প্রভাব পড়ছে। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘন ঘন বন্যা, খরা সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা কীভাবে কার্বন নির্গমন এবং অন্যান্য গ্রিন হাউস গ্যাস কমিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। সমস্ত নাগরিককে প্রক্রিয়াটিতে অংশগ্রহণ করতে এবং যানবাহন, প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে এবং এলাকায় বৃক্ষরোপণে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন । এতে বলা হয় যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দুর্বল মানুষ যেমন শিশু, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ মানুষ এবং উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করা লোকেরা প্রধানত প্রভাবিত হয় কারণ তাপ মজুত এই লোকদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে। বিশ্বব্যাপী এই সমস্যাটি বেশিরভাগ মানুষকে প্রভাবিত করছে।

এরপর ভাইরাল হেপাটাইটিস কন্ট্রোল নিয়ে আলোচনা কালে সাধারণ মানুষের জানার জন্য বলা হয় যে এরজন্য শিলচর মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হয়। হেপাটাইটিস বি এবং সি একটি রক্তবাহী রোগ, তাই শিলচর মেডিকেল এবং সিভিল হাসপাতাল সহ সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্ককে আবেদন জানানো হয় যে কোনও ইতিবাচক রোগীকে পাওয়া গেলে মেডিকেল এবং সিভিল-এর হেপাটাইটিস চিকিত্সা কেন্দ্রে জানাতে। এতে শিলচর মেডিকেলের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবড়ুয়া, নিশ্চিত করে জানান যে এই রোগে আক্রান্ত যেকোন রোগীর নির্দেশিকা অনুসারে সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা হবে।
যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মন জানান যে সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারী হাসপাতালে সংক্রামক রোগ সম্পর্কে অনলাইন রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে আইডিএসপিকে রিপোর্ট করতে হবে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিএসও (জেলা নজরদারি অফিসার) যে কাছাড় জেলায় সংক্রামক রোগের কোনও প্রাদুর্ভাব তদন্ত করতে দল পাঠাবে।

সভায় অতিরিক্ত উপায়ুক্ত বড়ঠাকুর জানান যে আগামী ২০শে মার্চ থেকে স্কুল বা হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে অভিযান চালানো হবে এবং পণ্য বিক্রির দোকানগুলিতে তামাক জাত দ্রব্য বিক্রয় করতে দেখা গেলে তামাক বিরোধী আইন ২০০৩ এর অধীনে জরিমানা করা হবে ।