তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ববদল

কলকাতা, ১৭ মার্চ (হি স)। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব বদল করা হল। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় এবার সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব সামলাবেন মোশারফ হোসেন।

কালীঘাটে শুক্রবারের বৈঠকে সাংগঠনিক স্তরে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাগারদিঘি হারানোর কারণ খুঁজতে আগেই কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। মোশারফ উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হলেও তাঁকে ওই সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সেই পদে এত দিন ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হয়। সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি এবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের সংগঠন দেখভাল করবেন সিদ্দিকুল্লাও।

এদিকে, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। মমতা বলেন, “সংখ্যালঘুরা আমাদের পাশেই আছেন। সংখ্যালঘু ভোট কমেনি ৷ সাগরদিঘিতে হার আমাদের দুর্বলতার কারণে। সুব্রত সাহা তো হিন্দু ছিলেন তাহলে উনি তিনবার কী করে জিতলেন?”

সাগরদিঘিতে হারের পরেই দলে গুরুত্ব বাড়ে সিদ্দিকুল্লার। তাঁকে মাথায় রেখেই কমিটি গড়েন মমতা। রিপোর্টও জমা দিতে বলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই এই রদবদল। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলার মধ্যে অন্যতম মুর্শিবাদ ও মালদহ। ওই দুই জেলার সংগঠনে পর্যবেক্ষণ চালাবেন সিদ্দিকুল্লা।

তবে ঘোষিত ভাবে তাঁকে পর্যবেক্ষক করা হয়নি। একই সঙ্গে সিদ্দিকুল্লাকে সহযোগিতা করতে দলের আরও দুই মুসলিম নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে থাকবেন। হাজি নুরুলকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি বসিরহাট জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পদে রাখা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, কালীঘাটের বৈঠকে মমতা নিজেই এই দায়িত্বের কথা ঘোষণা করেন।