তেলিয়ামুড়া মহকুমায় দেদার বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তির্ণ খাদ্য সামগ্রী, প্রশাসন নীরব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মার্চ৷৷  মহকুমা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনকে ঘুমে রেখে তেলিয়ামুড়ার একাংশ ব্যবসায়ীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে বিক্রি করছে অহরহ ভাবে৷ মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লকের অধীনে ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন জনপদ গুলিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা চলছে৷
মহকুমা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনকে ঘুমে রেখে তেলিয়ামুড়ার একাংশ ব্যবসায়ীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে বিক্রি করছে অহরহ ভাবে৷ অবুঝ জনজাতি অংশের মানুষজন ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছে না৷ মূলত মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লকের অধীনে ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন জনপদ গুলিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা চলছে৷ আদতে আঠারোমুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন উপজাতি পল্লীগুলিতে শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে৷ এই  সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তেলিয়ামুড়া , আমবাসা, কুমারঘাট সহ আগরতলার বিভিন্ন এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন কোম্পানির মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী গুলি জনজাতিদের দোকানিদের কাছে বিক্রি করে যাচ্ছে৷ পরে ঐসব দোকানীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী এলাকারই অবুঝ জনজাতিদের কাছে বিক্রি করছে৷ এছাড়া ঠান্ডা পানীয় এবং বেকারি শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেদার ভাবে জনজাতি পল্লীগুলিতে৷ অভিযোগে জানা যায় আমবাসা এলাকার  ব্যবসায়ী রাধাকৃষ্ণ কোম্পানির নমকিন বুঝিয়া বিক্রি করে যায়  জনজাতির দোকানিদের কাছে৷ অভিযোগে জানা যায় ওই নমকিন , বুঝিয়া তৈরি হয়েছিল সেপ্ঢেম্বর মাসের ৪ তারিখ ২০২২৷ জানা যায় ওই নমকিন , বুঝিয়ার গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তিন মাস লেখা থাকে৷ কিন্তু তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে বর্তমানে মার্চ মাস চলছে৷ স্বাভাবিকভাবেই ওই সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়৷ এরপরেও মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী গুলি অহরহভাবে বিক্রি হচ্ছে জনজাতি পল্লী গুলিতে৷
এ ব্যাপারে মহকুমা প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই৷ তবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা যাতে  অতিসত্বর জনপদ বিভিন্ন দোকানগুলিতে হানাদারী চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রি গুলি বাজেয়াপ্ত করে সেই দাবী উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *