করিমগঞ্জ (অসম), ৭ মার্চ (হি.স.) : হোলি উপলক্ষ্যে আনন্দে মাতোয়ারা গোটা দেশ। বিগত দু বছর অতিমারি কোভিডের থাবায় হোলির আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়লেও এবার হোলি উপলক্ষ্যে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরের আবির খেলা শেষ হতেই বিকেলে রঙ-বেরঙের পোশাক পরে রাজপরীদের সমাবেশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে মেতে উঠেছিল করিমগঞ্জ জেলা সদরের ভিখমচাঁদ বিদ্যালয় চত্বর। প্রকৃতির পরিবেশে ঘেরা হাজার সাংস্কৃতিক প্রেমীদের সমাবেশে জেগে উঠেছিল রঙিন বসন্ত।
বিগত দিনে করোনা অতিমারির জন্য বসন্তোৎসব পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শিল্পীরা। এর প্রভাব পড়েছিল করিমগঞ্জের প্রায় সবকয়টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপরও। এবার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় অন্যান্য সংগঠনের মতো নবগীতিকা সংগীত বিদ্যালয় ঘটা করে বসন্তোৎসব পালন করেছে।
করিমগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্প-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানে। সুবীরবরণ রায়, রূপক দেব, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, প্রদীপ নাথ, পুর কমিশনার নির্মল বণিক, কবি প্রবীর ভট্টাচার্য, প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জের সম্পাদক অরূপ রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দিনটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।
বিকেলে উৎসবের সূচনা হলে শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষিকা পারমিতা পাল বণিক জানান, ২০১০ সাল থেকে এই বসন্তোৎসব আয়োজন করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতায় এতটা বছর সুন্দর ও সুষ্ঠু অনুষ্ঠান হয়েছে। বসন্ত ঋতু মানে রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির চিন্তন ও মননের সঙ্গে মিশে আছেন কবিগুরু। কবির প্রিয় গানগুলির ডালি সাজিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। কচিকাঁচারা পরিবেশন করে মনমাতানো অনুষ্ঠান। আশপাশের গৃহবাসীরা এদিন ছুটে আসেন বসন্তের গানে।
রঙের উৎসব হোলির আগের দিন পড়ন্ত বিকেলে এক এক করে শিল্পীরা বিভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করে যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও ঝুমুর নাচ, ধামাইল নৃত্য ইত্যাদিতে এদিন পা মেলান ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবক, এমন-কি আমন্ত্রিত অতিথিরাও। শেষে আজ হোলি খেলবো রে শ্যাম… গানের নাচে সবাই পা মিলিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। আবিরের গন্ধে ভরে উঠে উৎসবস্থল। এভাবেই শেষ হয় এদিনের বসন্তোৎসব।