BRAKING NEWS

ডিমা হাসাও জেলাকে এক নম্বর স্থানে নিয়ে যেতে উকাপা পরিষদ বদ্ধপরিকর, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন দেবোলাল

হাফলং (অসম), ২৬ জানুয়ারি (হি.স.) : সমগ্র দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডিমা হাসাও জেলায়ও ৭৪-তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়েছে বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে। অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসওয়ের শৈলশহর হাফলং জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ৭৪-তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯-টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা।

আজ বৃহস্পতিবার ৭৪-তম প্ৰজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তলোন করে দেবোলাল গার্লোসা ভাষণে বলেন, ডিমা হাসাও জেলাকে সব দিক দিয়ে এক নম্বর স্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদ সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে শিক্ষা, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পাহাড়ি জেলা অনেক এগিয়ে গেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদ, জেলা প্রশাসন সহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।

দেবোলাল গার্লোসা বলেন, গত বছর মে ও জুন মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ায় ডিমা হাসাও জেলায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পাহাড়ি জেলা আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। বলেন, ভারতের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাই স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের বীর যে সব যোদ্ধা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের সবাইকে সম্মান জানানো কৰ্তব্য। তিনি এদিন স্বাধীনতা আন্দোলনে জয়া থাওসেনের কথা তুলে ধরে বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিট্রিশ সেনার হাতে শহিদ হয়েছিলেন জয়া থাওসেন।

তিনি এদিন রানি মা গাইদিনলিইউর স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বলেন, কেপেলোয় রানি মা গাইদিনলিউর স্মৃতিস্তম্ভের পাশাপাশি ডিমাসা রাজা সহ জেলায় স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মবলিদান দেওয়া বীর যোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভগুলি সংরক্ষণ রাখতে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে একজোট হয়ে উন্নয়নের কাজে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান দেবোললা।

এদিন তিনি ভাষণের শুরুতে সমাজকর্মী হিসেবে বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি মহিলাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণকারী ও ডিমা হাসাও জেলায় নিজের উদ্যোগে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা সহ হেরেক্কা ধর্মকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে রাখতে নিরলস কাজ করে যাওয়ার জন্য অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও জেলা সদর শহরের অদূরে লোদি গ্রামের বাসিন্দা রামকুয়াংবে জেমিকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় ২৬ জানুয়ারির প্রাক-সন্ধ্যায় ঘোষণা করায় তিনি রামকুয়াংবে জেমিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এই পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে রাজ্য তথা অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওর জন্য গৌরব নিয়ে এসেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রথমে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য একে একে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী বীর শম্ভুধন ফংলো, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রানি মা গাইদিনলিউর মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শহিদ তর্পণ, আসম পুলিশের গৃহরক্ষী বাহিনী, আসম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, এনসিসি, পুরুষ মহিলা স্কাউট গাইডদের মার্চপাস্ট ও জেলার বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত লোকনৃত্যের অনুষ্ঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *