আগরতলা, ১২ জানুয়ারি(হি. স.) : আলোর মজা নিতে হলে অন্ধকারকে চিনতে হবে। তাই, আলোর মজা নেওয়া জন্য বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। আজ জন বিশ্বাস যাত্রার সমাপনীতে আয়োজিত জনসভায় কংগ্রেস ও বাম জমানার ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিবর্তনের তাত্পর্য বোঝাতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। তাই তাঁর আবেদন, কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতাদের বিশ্রাম করতে দিন। বিজেপির নেতাদের ত্রিপুরার উন্নয়নের দায়িত্ব দিন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বিজেপির রথ যাত্রার সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আজ ওই রথ যাত্রার সমাপ্তি হয়েছে। এই আট দিনে ওই রথ আট জেলা পরিক্রমা করেছে। এই সময়ে ২০০ জনসভা, ১০০ পথ সভা এবং ৫০টি পদযাত্রায় ওই রথ সামিল হয়েছে।
আজ রথ যাত্রার সমাপনীতে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরাকে হীরা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে ডা: মানিক সাহা ত্রিপুরাকে হীরা-মানিক মডেল দিয়েছেন। আজকের জনসভায় বিশাল সংখ্যায় মানুষের উপস্থিতি তা প্রমাণ করেছে।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা উন্নয়নের নতুন কাহিনী লেখছে। আগরতলা রেল স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন, মেডিকেল কলেজের নতুন ভবন, সাতটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ, রাজধানী ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেস এবং ব্রু সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। তাঁর মতে, অন্ধকারের প্রতি মনোযোগ দিয়ে আলোর মাহাত্ম না বোঝলে রাজনীতিতে প্রচন্ড ক্ষতি হবে। এক্ষেত্রে বিজেপিকে মনে রাখতে হলে বাম জমানার শাসনও ভুলে গেলে হবে না।
তিনি এদিন সকলকে বাম জমানায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি মনে করিয়েছেন। সিপিএম ক্যাডারদের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। সাথে তিনি জোর গলায় দাবি করেন, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটিও রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটেনি।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় এখন চিকিত্সার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হয় না। বাম জমানায় রেগা প্রকল্পে অগুনিত দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান সরকারের দৌলতে রেগার মজুরি সোজা একাউন্ট-এ পৌছে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, সিপিএমের নেতারা দুর্নীতির শিক্ষাদানে অভিজ্ঞ। তাই, দুর্নীতির জন্য ত্রিপুরার পরিচিতি ছিল। তিনি বলেন, পরিবর্তীত ত্রিপুরা দুর্নীতির থেকে মুক্ত হয়েছে। তার বদলে উন্নয়ন গতি পেয়েছে।
তাঁর সাফ কথা, আলোর মজা নিতে হলে অন্ধকারকে চিনতে হবে। তাই, আলোর মজা পেতে বিজেপিকে সুযোগ দিন। তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, সিপিএম এবং কংগ্রেসের নেতাদের বিশ্রাম করতে দিন। তার বদলে বিজেপির নেতাদের কাঁধে ত্রিপুরার উন্নয়নের দায়িত্ব তুলে দিন।
এদিন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কেন্দ্রে মোদী সরকারের সাফল্যের বিবরণী তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে, সেই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, করোনার প্রকোপে আমেরিকা, ইউরোপ দেশগুলি এখনো টিকাকরণে সাফল্য পায়নি। অথচ, আমাদের দেশে টিকার দুইটি ডোজের সাথে বুসটার টিকা দেওয়াও অনেকাংশে সফল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। পরিশেষে তিনি সকলের কাছে আবারও বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার আবেদন রেখেছেন।

