ভালোবাসা, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের জন্যই ভারত জোড়ো যাত্রা : রাহুল গান্ধী

ফতেহগড় সাহিব, ১১ জানুয়ারি (হি.স.): হরিয়ানার পর এবার পঞ্জাবে প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো পদযাত্রা। মঙ্গলবার গেরুয়া পাগড়ি পরে রাহুল গান্ধীকে দেখা গিয়েছিল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। আর বুধবার সকালে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী যান পঞ্জাবের ফতেহগড়ের গুরুদ্বারা ফতেহগড় সাহিবে। মাথায় লাল পাগড়ি পরে গুরুদ্বারায় প্রার্থনা করেছেন রাহুল গান্ধী।

ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে রাহুল গান্ধী এদিন বলেছেন, “তাঁরা একটি জাতিকে অন্য জাতির বিরুদ্ধে, একটি ভাষাকে অন্য ভাষার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তাঁরা দেশের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমরা ভেবেছিলাম দেশকে একটি ভিন্ন পথ দেখাতে হবে – ভালবাসা, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের। তাই আমরা এই যাত্রা শুরু করেছি।” রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম এই যাত্রা ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলি যেমন ঘৃণা, হিংসা, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি উত্থাপন করবে এবং এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”

রাহুল গান্ধী এদিন আরও বলেছেন, “এই যাত্রায় আমরা দীর্ঘ বক্তৃতা দিই না। এই যাত্রা কথা বলার নয়, কথা শোনার। আমরা সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি, প্রায় ২৫ কিলোমিটার হাঁটি এবং ৬-৭ ঘন্টা সকলের কথা শুনি। এরপরে, আমরা ১০-১৫ মিনিটের জন্য নিজেদের মতামত রাখি। এই যাত্রার চেতনা হল ‘শ্রবণ করা’।” পরে বক্তৃতা শেষে ফতেহগড় সাহিব থেকে শুরু হয় পদযাত্রা।