এগিয়ে চলো-৯
জুয়েলস-০
(অ্যারিস্টাইড-জোড়া হ্যাটট্রিক, পারভেজ-২, মোস্তাফা)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জানুয়ারি।। লিগ সাব কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ‘শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’ চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগ ফুটবলের শেষ ফলাফল। জুয়েলসের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেলেও দলের কোচ সুজিৎ হালদার এবং ম্যানেজার দীপক বনিকের ক্ষাণিকের ভুলে সম্ভবত পয়েন্ট হারাতে চলেছে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। টি এফ এ সূত্রে এমনই খবর। রাজ্য ফুটবল সংস্থার নিয়মানুসারে প্রতি ম্যাচে স্থানীয় ৫ জন ফুটবলার ৯০ মিনিট প্রথম একাদশে থাকতেই হবে। সে ভাবেই শুরু করেছিলো এগিয়ে চলো। কিন্তু ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে গোল রক্ষক বুদ্ধ দেববর্মাকে তুলে বিশাল লামাকে মাঠে নামাতেই এগিয়ে চলোর স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে একজন কমে যায়। প্রায় ১৪ মিনিট ৪ জন স্থানীয় ফুটবলার নিয়ে খেলে এগিয়ে চলো। তা নিয়েই লিখিত অভিযোগ জানান জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে পুরি প্রসাদ দেববর্মা। জুয়েলসের অভিযোগমূলে শেষ সময়ে প্রীতম সরকারকে মাঠে নামলেও কোনও সুবিধে করতে পারেনি মেলারমাঠের ওই ক্লাবটি। জুয়েলসের অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স ট্রফি দেওয়া থেকে বিরত থাকে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। কিন্তু চিজুবাকে (১৫ গোল) সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার দিয়ে রাজ্য ফুটবল সংস্ধথার কর্তারা বুঝিয়ে দিলেন চ্যাম্পিয়নশীপের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারে। এদিকে এদিন উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে এগিয়ে চলো কার্যত চিরে খেলো জুয়েলসকে। ম্যাচে ৯-০ গোলে জুয়েলসকে বিধ্বস্ত করে এগিয়ে চলো। ম্যাচে এগিয়ে চলোর অ্যারিস্টাইড একাই জোড়া হ্যাটট্রিক করেন। এছাড়া পারভেজ ভঁুইয়া দুটি এবং মোস্তাফা ১ টি গোল করেন। ৬ গোল করলেন এদিন নিসন্দেহে ম্যাচের সেরা ছিলেন মোস্তাফা। নিজে ১ টি গোল করলেও কমকরে আরও ৫ টি গোল করিয়েছেন। সঙ্গত কারনেই ম্যাচের সেরা ফুটবলার বেছে নেওয়া হয় মোস্তাফাকে। খেলা পরিচালনা করেন তাপস দেবনাথ।