কলকাতা, ৬ জানুয়ারি (হি. স.) : বিগত ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৬ প্রশ্ন ভুল মামলার শুনানি শেষ।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হল। রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট । ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ৬ প্রশ্ন ভুলের নম্বর সকল পরীক্ষার্থী পাবেন কি না, তা এই মামলার রায়ে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত মামলাকারীরাই ৬ প্রশ্ন ভুলে নম্বর পেয়েছেন।
২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত তার প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এই অভিযোগ জানিয়ে ২০১৮ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন ১৭৫ জন পরীক্ষার্থী। প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই মামলার শুনানি শেষ হল শুক্রবার। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব পক্ষে বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভুল প্রশ্ন নিয়ে সবপক্ষের বক্তব্য আদালতের কাছে জানাতে হবে ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট ছয়টি প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত বিষয়টি প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৮ সালে। সেই সময় হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন প্রতিভা মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন। তাতে সেই সময় মামলাটি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এক বেঞ্চে। একক বেঞ্চ তাঁদের এক নম্বর করে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্যের তরফে বিষয়টি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও মামলায় একই নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের বাকিরাও আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং তাঁরাও নম্বর বাড়ানোর জন্য আবেদন করে। এদিকে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছিল। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল এবং সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মতো দীর্ঘদিনের শুনানি এবার শেষ হল। রায়দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট। এই মামলায় পর্ষদের তরফের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্তর বক্তব্য, যদি প্রায় কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীকে নতুন করে ছয় নম্বর দিতে হয়, তাহলে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কী রায় দেয়। আদালতের এই রায়ের উপর নির্ভর করছে প্রশ্ন ভুল মামলায় সকলে নম্বর পাবেন কি না।

