নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি (হি.স.): উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে বনভুলপুরা এলাকায় রেলের জমি থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে উচ্ছেদের জন্য সরকারি উদ্যোগে সম্মতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ‘৫০ হাজার মানুষকে এক সঙ্গে রাতারাতি উৎখাত করা যায় না।’ উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জানানো আবেদনের ভিত্তিতে উত্তরাখণ্ড সরকার এবং ভারত রেলওয়েকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, “আমরা আগেই বলেছি এটি রেলের জমি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এগোব।”
হালদওয়ানিতে বনভুলপুরা এলাকায় রেলস্টেশনের পাশে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগর ও বনভুলপুরা এলাকার রেলের জমিতে কয়েক দশক ধরে বসবাস ৪,০০০-এর বেশি পরিবারের। রয়েছে, দোকানপাট, সরকারি স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ, ব্যাঙ্ক, মায় পুরসভার জলের ট্যাঙ্কও। কিন্তু সে রাজ্যের সরকার ওই জবরদখল মুক্ত করতে সক্রিয়। গত ২০ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে এই জমি জবরদখল-মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এল নরসিমহা এবং বিচারপতি এসএ নাজিরের বেঞ্চ সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হালদওয়ানিকংগ্রেস বিধায়ক সুমিত হৃদয়েশের নেতৃত্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই বাসিন্দারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আবেদনকারীর আইনজীবী লুবনা নাজ জানিয়েছেন, “সেই জমিতে কোনও নির্মাণ হবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পুনর্বাসন প্রকল্পের কথা মাথায় রাখতে হবে। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য কাঠামো ভেঙে ফেলা যাবে না।”

