ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ ডিসেম্বর।।
দুর্ভাগ্য রামকৃষ্ণ ক্লাবের। চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগে এবছর সুপার ফোরে যাওয়া হলো না দলটির। তবে আদতে এবছর ভালো মানের দলই যে গঠন করেছিলো রামকৃষ্ণ ক্লাবের কর্মকর্তারা, তা আবার শনিবার মাঠেই প্রমাণ করে দিলো রামকৃষ্ণ শিবিরের ফুটবলাররা। এদিন উমাকান্ত ময়দানে ফরওয়ার্ড ক্লাবের মুখোমুখী হয় রামকৃষ্ণ ক্লাব। ময়দানে এবছর দুটো দলই বিগ বাজেটের দল। একটি এগিয়ে চলো সংঘ, অপরটি ফরওয়ার্ড ক্লাব। বিগ বাজেটের দুটো দলকেই টেক্কা দিয়ে দিলো রামকৃষ্ণ ক্লাব। এদিন নিয়মরক্ষার ম্যাচে রামকৃষ্ণ ক্লাব ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ফরওয়ার্ডকে। ম্যাচটা বেশ চমকপ্রদ হলো। প্রথমে দুই গোল হাসিল করে রামকৃষ্ণ শিবির। পাল্টা ফরওয়ার্ড শিবির চার গোল দাগে রামকৃষ্ণ ক্লাবের জালে। এক্ষেত্রে দলের গোলরক্ষক রাজু বাসফোরের জঘন্য গোলকিপিং-ই দায়ী। দুই গোল করে প্রথমার্ধে চার গোল হজম করে রামকৃষ্ণ ক্লাব। গোলগুলো করে দুই বিদেশি চিজুবা এবং ভিদাল। এর মধ্যে হ্যাট্রিক রয়েছে চিজুবার। ৪-২ এ যবনিকা ঘটে প্রথমার্ধের। বিরতির পর গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন রামকৃষ্ণ ক্লাবের কোচ। ম্যাচের মানই বদলে গেল। ফুটবলাররা রীতিমতো জমাটি চ্যালেঞ্জ দেয় ফরওয়ার্ড শিবিরকে। পিছিয়ে থেকে এবার দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধ করে রামকৃষ্ণ ক্লাব। ৪-৪ ম্যাচের গোল। এই অবস্থায় পঞ্চম গোল আদায়ের ক্ষেত্রে জমাটি চ্যালেঞ্জ দেয় রামকৃষ্ণ ক্লাব। ৭৭ মিনিটে বিজয়ী দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করে পাসাঙ্গ দর্জি তামাং। সুবন সূত্রধর হ্যাট্রিক করে। সুবাদে জয় হাসিল করে মাঠ ছাড়লো রামকৃষ্ণ ক্লাব। ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তকে ঘিরে কিছুটা সময় উত্তেজনাও ছড়ায় ময়দানে। তবে দারুণভাবে পরিস্থিতি সামলে নেন রেফারি তাপস দেবনাথ। ডাবল বুকিংয়ের কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লো রামকৃষ্ণ ক্লাবের ফুটবলার প্রবীণ সুব্বা। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হলেন রামকৃষ্ণ ক্লাবের পাসাঙ্গ দর্জি তামাং। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি তাপস দেবনাথ, অরিন্দম মজুমদার, বিপ্লব সিংহ ও প্রতাপ কুমার দাস।