পঞ্চভূতে বিলীন হীরাবেন মোদী, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ

গান্ধীনগর, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা শতায়ু হীরাবেন মোদী। শুক্রবার সকালে গুজরাটের গান্ধীনগরের শ্মশানে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। চোখের জলে হীরাবেনকে ‘চিরবিদায়’ জানিয়েছেন ছেলে নরেন্দ্র মোদী, পঙ্কজ মোদী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।

গত বুধবার আচমকা শরীর খারাপ হওয়ায় হীরাবেনকে আহমেদাবাদের ইউ এন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি এন্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তিনি ঠিক কী কারণে অসুস্থ ছিলেন, তা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়নি। যে দিন তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল সে দিনও হাসপাতালে গিয়ে মাকে দেখে আসেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার ভোররাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ চিকিৎসা চলাকালীন আহমেদাবাদের ইউ এন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি এন্ড রিসার্চ সেন্টারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। বৃহস্পতিবারই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর মা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের সুস্থতার জন্য মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপও করেন বহু মানুষ। প্রিয়জনদের শোকস্তব্ধ করে শুক্রবার ভোররাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ জীবনাবসান হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের।

মায়ের মৃত্যুতে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, “১০০ বছরের একটি দুর্দান্ত যাত্রা শেষ হয়েছে। আমি মায়ের মধ্যে তিনটি গুণের সাক্ষী হয়েছি, একজন তপস্বী (সাধু), একজন নিঃস্বার্থ কর্মযোগী এবং মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত জীবন।” মায়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদের হাসপাতাল থেকে গান্ধীনগরের উপকন্ঠে রাইসিনা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় শতায়ু হীরাবেন মোদীর মরদেহ, সেখানে শায়িত রাখা হয় প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মরদেহ। বাড়িতেই পৌঁছেই মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে যাওয়ার পথে হীরাবেন মোদীর মৃতদেহকে কাঁধে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। মাকে কাঁধ দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর ভাইকেও। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর পঞ্চভূতে বিলীন হয়েছেন হীরাবেন মোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *