শ্যাম সুন্দর চন্দ্র মেমোরিয়াল ফুটবলে হাবিবের গোলে গ্রুপ শীর্ষে জুয়েলস

জুয়েলস-‌১ (‌হাবিব)

ফরোয়ার্ড-‌০‌

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর।।গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুদলের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো আগেই। এই ম্যাচের উপরই নির্ভর করছিলো গ্রুপ লিগে শীর্ষ স্থানে থাকার। লড়াইয়ে ছিলো দুই দলই। বুধবার হাবিব কাবুমার পাশাপাশি জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশনকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দিতে মুখ্য ভূমিকা নেন গোলরক্ষক সুরজ সিং। তিন কাঠির নীচে অনবদ্য ছিলেন মনিপুর থেকে ওই গোলরক্ষকটি। মূলত সুরজের চওড়া হাতের কাছেই আটকে গেলো সুভাষ বসু-‌র দলের যাবতীয় কারসাজি। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে আসলো কর্ণেন্দু দেববর্মার দল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ফরোয়ার্ড। রাজ্য ফুটবল সংস্থা আয়োজিত ‘‌শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’ চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগ ফুটবলে। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশন নূণ্যতম গোলে পরাজিত করে ফরোয়ার্ড ক্লাবকে। ম্যাচে চিজুবা-‌র অভাব হারে হারে টের পেলো ফরোয়ার্ড ক্লাব। শেষ ম্যাচে লালকার্ড দেখায় এদিন মাঠের বাইরে ছিলেন সুভাষ বসু-‌র ‘‌তুরুপের‌‌ তাস’টি। ‌তারপরও ম্যাচে প্রাধান্য ছিলো ফরোয়ার্ডের। তবে দিনটাই ছিল না ফরোয়ার্ড ক্লাবের। না হলে তো এমনটা হবার কথা ছিল না। এক, দূটি নয় গোটা ম্যাচে কমপক্ষে ১০ টি সুযোগ পেলো সুভাষ বসু-‌র ছেলেরা। তবে কখনও জুয়েলসের গোলরক্ষক তো আবার কখনও পোস্ট বাধা হয়ে দাড়ালো ফরোয়ার্ডের ফুটবলারদের সামনে। তবে জুয়েলসের গোলরক্ষক ওয়াই সুরজ সিংএর প্রশংসা করতেই হয়। গোটা ম্যাচে রীতিমতো বাজপাখির ভূমিকায় দেখা গেল মনিপুরের এই ফুটবলারকে। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে জমে ওঠে। বিদেশি চিবুজা খেলতে না পারায় অনেকটাই অসহায় মনে হচ্ছিল ফরোয়ার্ডের অপর বিদেশি ভিদালকে। গোল আদায়ের লক্ষ্যে দু দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমন চালায়। সব কিছু হচ্ছিলো ম্যাচে। তবে গোলের মুখ কোনো ভাবেই খুলতে পারছিলো না কোনও দলই। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে কর্ণার থেকে জুয়েলসের হয়ে গোল আদায় করে নেন হাবিব কাবুমা। ১-০ তে শেষ হলো প্রথমার্ধ। বিরতির পর গোল পরিশোধ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রয়াস ফরোয়ার্ড শিবিরের। তবে তাদের যাবতীয় সব অ্যাটাক মিস হয়ে গেল। একটা সময় ফরোয়ার্ড ক্লাবের ফুটবলাররা কিছুটা মেজাজ হারিয়ে রেফারির উপর চড়াও হয়। তবে রেফারি টিংকু দে দারুণভাবে সামলে নেন ম্যাচের উত্তাপ। ৮৯ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলো ফরোয়ার্ডের এমডি সাহাজাহানকে। অবশেষে জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশন ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় হাসিল করে নিলো। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হলেন জুয়েলসের গোলরক্ষক ওয়াই সুরজ সিং।