বরপেটায় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আটক বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলি

বাঘবর (অসম), ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : বরপেটা জেলার কানারা সত্রে জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে স্থানীয় বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলিকে।

আজ সোমবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাঘবরের কানারা সত্রে বেদখলকারীদের উচ্ছেদে নামে জেলা প্রশাসন। সকালেই স্থানীয় বিধায়ক শেরমান আলি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযানকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আলি বলেন, রাজ্য সরকার কোনও সমীক্ষা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা ছাড়াই ভূমিহীন মানুষকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করেছে।

উচ্ছেদস্থল থেকে থেকে বিধায়ক শেরমানকে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের কর্তারা বারবার অনুরোধ করলেও তিনি তাতে কান দেননি। এক সময় তিনি হাতে প্ল্যা-কার্ড নিয়ে উচ্ছেদস্থলে বসে পড়েন। তখন তাকে পুলিশ সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বল প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে পুলিশ বিধায়ক আলিকে বরপেটা থানায় নিয়ে আটকে রাখে।

পুলিশ যখন তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিধায়ক বলেন, ‘জনগণের অধিকার রক্ষা করা প্রতিটি সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব। উচ্ছেদের আগে এখনও কেন সরকার সঠিক জরিপ করেনি? কেন জনগণকে আগে থেকে পুনর্বাসন করা হয়নি?’ তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, এখান থেকে ২৫টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

এদিকে প্রশাসনিক ম্যজিস্ট্রেট তথা সার্কিল অফিসার তাঁকে বলেন, ‘যে জায়গাটিতে আপনি (শেরমান আলি) বসে আছেন, তা এষা হক ও সোনা মিয়াঁর জবরদখলে ছিল। তাঁরা প্রায় ৮০ বিঘা জমি দখল করেছেন।’ সার্কল অফিসার আরও বলেন, তদন্তে দেখা গেছে যাঁরা ভূমিহীন বলে দাবি করছেন, তাঁদের নামে জমির পাট্টা রয়েছে। কেবল জবরদখলকারীদের জায়গা খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং স্বেচ্ছায় তাঁরা ভূমি ছেড়ে চলে গেছেন, বলেন সার্কল অফিসার।