আগরতলা, ২৪ ডিসেম্বর(হি. স.) : তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে দিব্যাঙ্গজন ও প্রবীণ ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। তাঁদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য ত্রিপুরায় ৩৩২৮টি ভোটকেন্দ্রেই থাকবে র্যাম্প-র সুবিধা। এছাড়াও একাধিক সুবিধা থাকবে ভোটকেন্দ্রে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা বিধানসভার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দিব্যাঙ্গজন ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারা গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা ও উদ্যোগের বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ জারি করেছে।
কমিশন জানিয়েছে, সমস্ত যোগ্য দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের তালিকাভুক্ত ও ম্যাপ করা হবে। বেঞ্চমার্ক দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে। যে সমস্ত নতুন দিব্যাঙ্গজন ভোটাররা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন শুধুমাত্র তাদের বাড়িতেই শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। শুনানির সময় দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের আসতে না হয়, তার জন্য ইআরও কার্যালয়ের আধিকারিকগণ শুনানি পরিচালনার জন্য তাদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
সমস্ত যোগ্য দিব্যাঙ্গজন এবং প্রবীণ নাগরিকদের আসা-যাওয়ার সুবিধা প্রদান করা হবে। এই সুবিধাগুলি পাওয়ার জন্য যোগ্য ভোটারদের ওয়েব পোর্টাল/পিডব্লিউডি অ্যাপ বা হেল্পলাইনে একটি নিবন্ধন সুবিধা প্রদান করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, দিব্যাঙ্গজন ও প্রবীণ ভোটারদের (৮০ বছরের বেশি) জন্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ফর্ম ১২ডি-তে আবেদনপত্র নির্বাচন কাজে নিযুক্ত কর্মীরা তাদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করবে। এছাড়া, দিব্যাঙ্গজন এবং প্রবীণ নাগরিকদের (৮০ বছরে বেশি) সুবিধার জন্য সমস্ত ভোটকেন্দ্রে আরও কিছু সুবিধা প্রদান করা হবে।
কমিশন জানিয়েছে, ত্রিপুরার ৩,৩২৮টি ভোটকেন্দ্র সমস্ত একতলায় চিহ্নিত করা হয়েছে। সকল ভোটকেন্দ্রে স্ট্যান্ডার্ড গ্রেডিয়েন্ট সহ র্যাম্প নিশ্চিত করা হবে। এ পর্যন্ত ৩,৩২৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩, ১২৪ ভোটকেন্দ্রে র্যাম্পের সুবিধা রয়েছে। বাকি ২০৪টি ভোটকেন্দ্রে র্যাম্প নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এরই সাথে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের জন্য পৃথক সারির ব্যবস্থা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের আরও দাবি, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে হুইল চেয়ার। সমস্ত জেলা নির্বাচন আধিকারিক, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষা দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
এদিকে, ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, ত্রিপুরা সমস্ত জেলার জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনামূলক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন। সমস্ত প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাঁরা প্রতিটি জেলার কমপক্ষে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে নূন্যতম ১০টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
কমিশনের নির্দেশ, দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের জন্য অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য SAKSHAM ECI অ্যাপের ব্যাপক প্রচার করা হবে। সিইও ওয়েবসাইট সহজে অ্যাক্সেসের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কমিশন দ্বারা নির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটগ্রহণ কর্মীদের সংবেদনশীল হতে হবে। ভোটগ্রহণে নিযুক্ত আধিকারিকরা দিব্যাঙ্গজন এবং প্রবীণ ভোটারদের সাথে সংবেদনশীলতার সাথে আচরণ করবেন।
সাথে কমিশন দাবি করেছে, দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করতে জেলা ও রাজ্যের বিশিষ্ট দিব্যাঙ্গজন ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন। সিএসও এবং এনজিওগুলির সাথে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হবে।