রাণাঘাট(নদীয়া), ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.): ছোট চোর আপনারা ধরুন, বড় চোর আমরা ধরব। নদীয়া রানাঘাটের জনসভায় শাসকদলকে একহাত নিয়ে জনতার উদ্দেশে এ কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর রানাঘাটে একজন এসে বলে আমি কিছুই খাই না। তিনি কী খান জানেন? কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, আর মদের বোতল থেকে পাঁচ টাকা করে খান। এরপরেও বলেন আমি কিছু খাই না।”
সামনেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। একদিকে যেমন পঞ্চায়েতকে দখলে ধরে রাখতে মরিয়া রাজ্যের শাসকদল, অন্যদিকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল ও বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা একের পর এক অগ্নিবাণ ছুড়তে ব্যস্ত। আজ নদীয়ার রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে এক জনসভার আয়োজন করে বিজেপি। এই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঞ্চে উঠে পঞ্চায়েতের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর হুঁশিয়ারি, “দুর্নীতির টাকা লুট করে কোথাও যেতে পারবে না, টাকা সুদে-আসলে আদায় করব। আগামী ভোটে আমরাই পঞ্চায়েত দখলে রাখব, আর লুটেরাদের চিহ্নিত করে জেলে পাঠাব।”
জনসভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রত্যেকটা মণ্ডল সভাপতিকে আমি দায়িত্ব দিয়ে গেলাম। আপনারা ছোট ছোট চোরগুলোকে চিহ্নিত করুন। আমরা বড় চোর গুলোকে ধরব। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের নামের তালিকা নিয়ে পঞ্চায়েতগুলিতে যে দুর্নীতি চলছে, টাকা সমেত চোরেরা ধরা পড়বেই, আর তখনই শুরু হবে আসল খেলা ।”