উপজাতিদের উন্নয়নের কথা বলে যুগে যুগে রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২০ ডিসেম্বর৷৷ এ রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষজনদের নিয়ে পর্যায় ক্রমিকভাবে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত ৬ টি উপজাতীয় আঞ্চলিক দল গঠন হয়েছিল বিভিন্ন সময়৷ ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে এলে উপজাতীয় আঞ্চলিক দলগুলি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে৷ আর নির্বাচন ফুরিয়ে যেতেই ওই সব আঞ্চলিক দলগুলির অস্তিত্ব খুঁজে পায় না প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতি অংশের মানুষজনেরা৷ উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলির ইতিহাস বৃত্তান্তের পেছনে ফিরে তাকালে সেটা মূলত আয়নার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়৷ জনজাতি অংশের মানুষ জন আঞ্চলিক দলগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তেমন কোন লাভবান হয়নি৷
উল্লেখ্য থাকে, পূর্বে জনজাতিদের জন্য উপজাতি যুব সমিতি,আইএনপিটি, এনসিটি, আইপিএফটি এবং টিপিএফ পাঁচটি আঞ্চলিক দল গঠিত হয়েছিল৷ কিন্তু জনজাতিদের জন্য কোনো উন্নয়ন কাজই করতে পারেনি ওই পাঁচটি আঞ্চলিক দলগুলি৷  ওইসব আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃত্বদের ঠিকই উন্নয়ন হয়েছে৷ আর জনজাতি অংশের মানুষ জনেরা উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সময় কেবল পেয়েছে উন্নয়নের নামে বঞ্চনার গ্লানি৷ বিগত ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাক্কালে  তিপ্রা মথা নামক আরো একটি আঞ্চলিক দলের প্রসব হয়েছিল এ রাজ্যের গুটিকয়েক উপজাতি স্তরের নেতৃত্বের হাত ধরে৷ এই তিপ্রা মথা আঞ্চলিক দল বর্তমানে ত্রিপুরার স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে৷ কিন্তু তাদের শাসন ক্ষমতায় প্রত্যন্ত এলাকার উপজাতিদের জীবনযাত্রার মান কতটা উন্নয়ন করতে পেরেছে সেটা মূলত প্রশ্ণচিহ্ণই থেকে গেল৷ অথচ এই তিপ্রা মথা আঞ্চলিক দল রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নির্বাচনী লড়াই লড়তে চাইছে৷ তিপ্রা মথা দলের নেতৃত্বরা মাঠে ময়দানে সভা  সমাবেশ করে নির্বাচনী লড়াই লড়ার জন্য হুংকার দিচ্ছে৷
উল্লেখ্য থাকে, রাজ্যে এ পর্যন্ত ৬টি আঞ্চলিক দল আছে৷ কালের বিবর্তনে ৫টি আঞ্চলিক দল লুপ্ত হয়ে গেছে উপজাতীয় স্তরের নেতাদের লোভ-লালসার কারণে৷
ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদে ক্ষমতার মসনদে তিপ্রা মাথার সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার মানুষ জনদের উন্নয়নের স্বার্থে কতটুকু কাজ করতে সক্ষম হয়েছে তা মূলত বুবাগ্রাই বলতে পারবে৷  তবে বুবাগ্রার উপর অন্ধবিশ্বাস রেখে উপজাতি অংশের মানুষজনেরা অন্ধকার থেকে ঘন অন্ধকারময় জীবন যাত্রায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷ তবে আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথা দলের নেতৃত্বরা গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের দাবিতে কতটা জিগির তুলতে পারে তা সময়ই বলবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *