ভারত-চিন সংঘর্ষে দুই দেশকে আলোচনায় বসার পরামর্শ আমেরিকার

ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর (হি. স.) : প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশকে আলোচনায় বসার পরামর্শ আমেরিকার । গত ৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিন সেনা সংঘর্ষ হওয়ার পর দুই দেশই যেভাবে পিছিয়ে এসেছে, তার প্রশংসা করেছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারন জাঁ-পিয়ের জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতি নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে এবং উভয় পক্ষকেই বিতর্কিত সীমানা প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চ্যানেলগুলি ব্যবহারের উৎসাহিত করছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষ প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ স্পষ্ট করে দিতে ক্যারিন জাঁ-পিয়েরের বক্তব্য, “আমরা আনন্দিত যে উভয় পক্ষই সংঘর্ষের পর দ্রুত সরে এসেছে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছি এবং ভারত ও চিনকে উৎসাহিত করছি বিদ্যমান চ্যানেলগুলি আলোচনার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।”

শুক্রবার ভারত-চিন সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আহতদের সংখ্যায় ভারতীয় সেনাবিহিনীর তুলনায় চিনা সেনার সংখ্যাই বেশি। প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে ইয়্যাংৎসে অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনাবাহিনীকে ভারতীয় সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে আটকে দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি সংসদে এবিষয়ে বলেন, “আমি কক্ষকে আশ্বস্ত করতে চাই, কোনও ভারতীয় সেনা প্রাণ হারাননি অথবা গুরুতর আহত হননি। আমি কক্ষকে এই আশ্বাসও দিতে চাই যে আমাদের সেনাবাহিনী দেশের ক্ষেত্রীয় অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারেন। আমাদের সেনা সীমালঙ্ঘন রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কক্ষ আমাকে সমর্থন করবে।”

উল্লেখ্য, চিনের সামরিক বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মিগত শুক্রবার যখন প্রকৃত সীমারেখায় স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তখন ভারতীয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি ইউনিটের জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর রাইফেলস, জাট রেজিমেন্ট এবং শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি তা প্রতিহত করে। লাঠি ও অন্যান্য হাতিয়ার নিয়ে চিনা সেনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার জন্য এগিয়ে এসেছিল। ভারতীয় সেনারাও সেসময় প্রস্তুত ছিল যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য। খবরে প্রকাশ, চিন জানত যে ভারতীয় সেনারা সে সময় সেখানে উপস্থিত রয়েছে, তবুও তারা স্থিতাবস্থা নষ্টের চেষ্টা করে সেদিন। চিনা সেনাবাহিনী প্রতি বছরই ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করে। তাদের দাবি ওই অঞ্চল তাদের, কিন্তু ভারতও কোনওভাবেই নিজের ভূখণ্ডের একচুল জমি ছাড়তে রাজি নয়।