রামকৃষ্ণ ক্লাব: ৩
ইউ: ফ্রেন্ডস: ১
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর।।গুরুত্বপূর্ণ জয়। না হলে ভালো দল গড়েও অনেকটা পেছনে চলে আসতো। বুধবার উমাকান্ত ময়দানে শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগে ঘটলো এই ঘটনা। রামকৃষ্ণ ক্লাব বনাম ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ম্যাচে রামকৃষ্ণ ক্লাব ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিলো ফ্রেন্ডস ইউনিয়নকে। বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন সোনম চুং সেরপা। এছাড়া একটি গোল করেন এল্টন ডার্লং। ফ্রেন্ডসের পক্ষে একমাত্র গোলটি করতে সক্ষম হয় রিংহর জমাতিয়া। তবে জয়ী হলে ও তেমন একটা জমাটি ফুটবল দেখা গেল না রামকৃষ্ণ ক্লাবের তরফে। এক কথায় বলতে গেলে অনেকটা সাদা মাটা ফুটবল খেলেই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট হাসিল করে নিলো কৌশিক রায়ের ছেলেরা। আদতে এটা কিন্তু রামকৃষ্ণ ক্লাবের আসল ফুটবল নয়। ম্যাচের শুরু থেকেই এই বিষয়টা নজরে পড়লো কোচ সহ মাঠে উপস্থিত প্রত্যেকের। রামকৃষ্ণ ক্লাবের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল দল বলা চলে ফ্রেন্ডস ইউনিয়নকে। তারপর ও তারা নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করে ম্যাচে। নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার নেই তাদের। যার ফলে রামকৃষ্ণ ক্লাবের রক্ষণভাগকে খুব একটা বিচলিত হতে হয়নি। প্রথমার্ধে দর্শকদের প্রাপ্তি বলতে রামকৃষ্ণ ক্লাবের এল্টন ডার্লং- এর একমাত্র গোলই। তবে এই অর্ধে কমপক্ষে চারটি গোল করতে পারতো রামকৃষ্ণ ক্লাব। যা হয়ে উঠেনি। বিরতির পর আবার ও শুরু হলো ম্যাচ। মাঝমাঠ বলতে কিছুই ছিল না রামকৃষ্ণ ক্লাবের। ময়দানের অন্যতম জোন হলো এই মাঝমাঠ। এতেই এবরো খেবরো ফুটবল খেলতে থাকে রামকৃষ্ণ ক্লাবের ফুটবলাররা। বরাত ভালো এই অর্ধে দু-বার সোনম চুং সেরপা জাল নাড়িয়ে দেয় ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের। তিন গোল হজম করার পরে ও জমি ছাড়তে রাজি নয় ফ্রেন্ডস শিবির। মরিয়া প্রয়াস চালায় গোটা দল। সুবাদে ম্যাচের প্রায় অন্তিম লগ্নে একটি গোল আদায় করতে সক্ষম হলো দল। গোলটি করে রিংহর জমাতিয়া। সুবাদে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় হাসিল করে নিলো রামকৃষ্ণ ক্লাব। তবে দল জিতেছে এটা প্রশান্তির। কিন্তু মাঝমাঠের খেলা নিয়ে খোদ বিরক্তি প্রকাশ করলেন কোচ কৌশিক রায়। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হলেন জোড়া গোল দাতা রামকৃষ্ণ ক্লাবের সোনম চুং সেরপা। তার হাতে আয়োজকদের তরফে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ও তুলে দেয়া হলো। ম্যাচটি পরিচালনা করলেন জুনিয়র রেফারি আদিত্য দেববর্মা।