ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর।।ডার্বি ম্যাচের নায়ক এগিয়ে চলো সঙ্ঘের গোলরক্ষক বুদ্ধ দেববর্মা। পাশাপাশি খলনায়ক রেফারি টিঙ্কু দে। রাজ্য ফুটবল সংস্থা আয়োজিত ‘শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’ চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগ ফুটবলে। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডার্বি ম্যাচটি রবিবার শেষ হয় অমিমাংশিতভাবে। শিল্ডের ফাইনাল ম্যাচের মতো এদিন পর্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়ে ফরোয়ার্ড ক্লাবের ফুটবলাররা। কিন্তু সুভাষ বসু দলের ‘গোলকানা’ রোগে চাপে পড়ে যায় ফরোয়ার্ড। তবে এদিন সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছেন টিঙ্কু দে-র দুর্বল রেফারিং। একসময় রেফারি সংস্থার কর্তাদের মুখ লুকিয়ে থাকতে দেখা গেছে টিঙ্কুর রেফারিং দেখে। ন্যায্য পেনাল্টি থেকে এদিন বঞ্চিত করা হয় এগিয়ে চলো সঙ্ঘকে। তেমনি সারাক্ষণই দুর্বল রেফারিং করেন। দুর্বল রেফারিং এর জন্য ফুটবলারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় রেফারির। খেলা বন্ধ থাকে ৬ মিনিট। এছাড়া মাঠে পড়ে ইট পাটকেল। এতে আহত হয়েছেন চতুর্থ রেফারি আদিত্য দেববর্মা। সবকিছু মিলিয়ে ডার্বি ম্যাচের আকর্ষন কমিয়ে দেন রেফারি। তবে অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেল এগিয়ে চলোর গোলরক্ষক বুদ্ধ দেববর্মা। পেনাল্টি রুখে দেওয়ার পাশাপাশি দুটি আরও অবধারিত গোল রুখে দিয়ে দলকে ১ পয়েন্ট এনে দিতে মোক্ষম ভূমিকা নেন বুদ্ধ। সঙ্গত: কারনেই ম্যাচের সেরা ফুটবলার বেছে নেওয়া হয় বুদ্ধকে। ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটে আক্রমণে যায় ফরোয়ার্ড ক্লাব। ক্ষেত্র রিমার সেন্টার করা বল বক্সের ভেতর আসিফ আলির হাতে লাগলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ক্রিস্টোফারের নেওয়া স্পটকিক অত্যাধিক দক্ষতায় ঝঁাপিয়ে রুখে দেন বুদ্ধ দেববর্মা। এর ১২ মিনিট পর মোস্তাফার রক্ষণচেরা সেন্টার থেকে একেবারে ফাকায় বল পেয়ে জালে ঠেলতে ব্যর্থ হয়েছেন ভুইয়া। ৩২ মিনিটে অ্যারিস্টাইডের গোলার মত শট অত্যাধিক দক্ষতায় রুখে দেন বুদ্ধ। ৫৭ মিনিটে পারভেজের শট বক্সের ভুতর রতন কিশোরের হাতে লাগা সত্বেও তা এড়িয়ে যান রেফারি। অথচ ন্যায্য পেনাল্টি ছিলো। সারা মাঠে উপস্থিত দর্শকরা দেখলেন কিন্তু দেখলেন না রেফারি। তা নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে হয় বাকবিতন্ডা। খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ। শেষ পর্যন্ত গোলশূণ্যভাবে শেষ হয় ম্যাচ। রেফারি হলুদ কার্ড দেখান এগিয়ে চলোর আসিফ আলি মোল্লা, কাগালি অনল, পারভেজ ভুঁিয়া এবং ফরোয়ার্ডের মহম্মদ শাহজাহানকে।