নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্য সরকার জনকল্যাণে উন্নয়নমুখী চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করছে৷ এটা এই রাজ্যের মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন৷ এখন রাজ্যে শান্তি সম্পীতি ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় হচ্ছে৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কালাছড়া ব্লকের ইচাইলালছড়ায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন৷ এদিন উত্তর ত্রিপুরা জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী কদমতলা ব্লকের বজেন্দ্রনগরে নবনির্মিত বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কদমতলা ব্লকভিত্তিক কৌশল মেলারও উদ্বোধন করেছেন৷ এ উপলক্ষে বজেন্দ্রনগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্যে প্রতি ঘরে সুুশাসন অভিযানে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ এই অভিযান আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, রাজ্যে স্বচ্ছতা ও সততা বজায় রেখে সরকারি পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ প্রতিটি ব্যক্তিকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ৷ এই স্বপকে সফল করতে রাজ্য সরকার আন্তরিক প্রয়াস নিয়েছে৷ তিনি বলেন, সরকার স্বসহায়ক দলগুলিকে কেন্দ্র করে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে ৩৯ হাজার ৮২৪ জন মহিলা স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন৷ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার মহিলাকে স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত করা হয়েছে৷ এটা মহিলা স্বশক্তিকরণের এক উজ্জল উদাহরণ৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে৷ সম্পতি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে আরও ৭টি জাতীয় সড়কের ম’রি দিয়েছে৷ তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কাজে বিশ্বাসী৷ মানুষের কল্যাণে ও স্বার্থে সম্পতি ’আমার সরকার’ ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে৷ যাতে মানুষের সমস্যার দ্রত সমাধান করা যায়৷ রাজ্যে আরও ৩০ হাজার সুুবিধাভোগীকে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সম্পসারণে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনও আন্দোলনের নামে রাজ্যের উশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করবে না৷ কারণ রাজ্যে শান্তি ও সম্পীতি না থাকলে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হবে৷
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস, বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, জেলার পুলিশ আধিকারিক কিরণ কুমার কে, কদমতলা প’ায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুুবত দেব প্রমুখ৷ উল্লেখ্য, নবনির্মিত বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা৷