রাজ্য ফুটবলের উন্নতিকল্পে ৮টি ক্লাবকে আর্থিক অনুদান ও বিভিন্ন পরিকল্পনা টিএফএ-র

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর।। ত্রিপুরার ফুটবলের সোনালি অধ্যায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ। এর জন্য নেওয়া হলো বহুমুখী পরিকল্পনা। রাজ্য ফুটবল সংস্থার। বৃহস্পতিবার সেই পরিকল্পনার কথাই তুলে ধরলেন রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তারা। আগরতলা প্রেস ক্লাবে। বৃহস্পতিবার। ত্রিপুরা রেফারি এসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্যদের জন্য জার্সি এবং আটটি প্রথম সারির ক্লাব – ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন, বীরেন্দ্র ক্লাব, টাউন ক্লাব, ফরোয়ার্ড ক্লাব, এগিয়ে চলো সংঘ, লাল বাহাদুর ব্যায়ামাগার, জুয়েলস এসোসিয়েশন এবং রামকৃষ্ণ ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করার বিষয় যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘‌শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স’ চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগ ফুটবল প্রতিযোগিতা। ৮ দলীয় আসরকে আকর্ষনীয় করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন বর্তমান কর্মকর্তারা। কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী বর্তমান কমিটির কর্তারা তা প্রমান করলেন এদিন। ত্রিপুরার ফুটবলের স্বর্ণালী যুগ ফিরিয়ে আনা-ই বর্তমান কমিটির একমাত্র লক্ষ্য। ‘‌জয়ী হউক ত্রিপুরার ফুটবল, জয় হবে ফুটবলারদের’-‌ ওই স্লোগানকে সামনে রেখেই এবার শুরু হচ্ছে আসর। সংস্থার সভাপতি প্রণব সরকার স্পষ্টভাবেই বলেন,”নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হলে খেলাধূলার বিকল্প কিছু নেই। আর তা মাথায় রেখেই এবারের আসরকে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে করে যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হয়। মাঠে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ে এবং বহু প্রতিভা বেরিয়ে আসে”। শুধু শহর কেন্দ্রীক নয়, ফুটবলকে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এবারের লিগ ফুটবলকে গৌর চন্দ্র সাহা-‌র‌ নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। আসরের আকর্ষন বাড়াতে এবছর চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দলকে প্রাইজমানি বাবদ দেওয়া হবে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া সুপার ফোরে উঠা বাকি দুই দলকে দেওয়া হবে যথাক্রমে ১৫ এবং ১০ হাজার টাকা। থাকছে সেরা গোলরক্ষক, সর্বোচ্চ গোলদাতা, ফাইনালের সেরা ফুটবলার এবং সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার। ওই চার ফুটবলারকে দেওয়া হবে ৩ হাজার টাকা করে। এছাড়া তৃতীয় ডিভিশনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক দলকে ৫ হাজার টাকা করে, দ্বিতীয় এবং মহিলা ফুটবলে অংশ নেওয়া প্রত্যেক দলকে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নির্বাচকদের বাছাই করা সেরা কোচকেও পুরস্কৃত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া থাকছে প্রতি ম্যাচে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। আসরের স্পনসরার তথা রাজ্য সংস্থার সহসভাপতি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা বলেন,”স্থানীয় ফুটবলারদের তুলে আনা-ই বর্তমান কমিটির লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। কারন স্থানীয় ফুটবলার বেরিয়ে না আসলে আসরের আকর্ষন কখনও বাড়বে না। যত বেশী সংখ্যক স্থানীয় ফুটবলার খেলবে ততই মাঠে ফুটবলপ্রেমীদের সংখ্যা বাড়বে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, ফুটবলের সোনালী দিন ফিরে আসুক আবার। শুধু রাজ্য স্তরে নয়, আমাদের রাজ্যের ফুটবলাররা দাপট দেখাক জাতীয়স্তরেও”।‌ অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ফুটবল সংস্থার পেট্রণ রতন সাহা, সচিব অমিত চৌধুরি এবং শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা ও ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা।