কলকাতা, ২১ নভেম্বর (হি. স.) : এবার বারাণসীর ঘাটের আদলে কলকাতাতেই হবে গঙ্গা আরতি । সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি চাই, গঙ্গা আরতির একটা জায়গা এখানে হোক। উত্তর প্রদেশে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা আরতি হয়। আমিও চাই, এখানেও এটা হোক। এমন একটা জায়গায় গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে বসার জায়গা আছে। আরতি দেখতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে লোক পড়ে যাবে না, কোনও মন্দির আছে, লোকে যেখানে শান্তির পীঠস্থান মনে করে, সেরকম একটা জায়গা দেখে গঙ্গা আরতি করার নির্দেশ দিচ্ছি কলকাতা পুরসভাকে।” এই ব্যবস্থাপনা করার জন্য দু-বছরের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন, ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, ফোয়ারার সঙ্গে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম সহ একাধিক ব্যবস্থাপনা করেছেন তিনি।
এদিন গঙ্গা আরতি ব্যবস্থাপনা করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রিন্সেপ ঘাটের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো ধমকের সুরে তিনি বলেন, “প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। ওখানে পৌষমেলা হয়। কলকাতার লোকেদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। তাই এটা করেছিলাম। কেন সেটা মেরামত হচ্ছে না? কখনও অফিসার, কখনও মন্ত্রী, কখনও সরকার বদল হয়। কিন্তু নীতি তো বদল হয় না। কেন এটা নিয়মিত মনিটরিং হবে না?” প্রিন্সেপ ঘাটের পাশাপাশি হাওড়া থেকে নবান্ন যাওয়ার রাস্তার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী থেকে আমলাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকছি। সবসময় নেতিবাচক কথা না বলে সদর্থক চিন্তা করতে হবে।” মন্ত্রীরা আসে যায়, কিন্তু নীতি একই থাকে। প্রত্যেককে নিজের দফতরের কাজ দেখতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।