আগরতলা, ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : জনজাতিদের বিকাশই শক্তিশালী দেশ গড়ার চাবিকাঠি। দেশের জনজাতি সমাজকে সম্মান ও তাঁদের বিকাশের ভাবনা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশে ১৫ নভেম্বরের দিনকে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপনের জন্য দেশব্যাপী আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ধলাই জেলার আমবাসার দশমীঘাটে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুণ্ডার জন্মজয়ন্তীতে রাজ্যভিত্তিক জনজাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ, জলপথ ও আয়ুষ দফতরের মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা, খাদ্যমন্ত্রী মনোজকান্তি দেব, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, ইন্ডিয়া ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. সম্বিত পাত্রা, জনজাতি কল্যাণ দফতরের সচিব এলটি দার্লং, ত্রিপুরা খাদি বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, ধলাইয়ের জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, ধলাইয়ের পুলিশ সুপার রমেশ যাদব প্রমুখ।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ত্রিপুরার জনজাতিদের উন্নয়নে চারটি প্রকল্প ঘোষণা করেন। প্রকল্পগুলি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থানুকূল্যে ত্রিপুরার রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট, পুন বানিয়া – ক্রেডিট লিংকড বেসড ইনকাম জেনারেটিং গোটারি স্কিম, ওয়াক বানিয়া – ক্রেডিট লিংকড বেসড ইনকাম জেনারেটিং পিগারি স্কিম এবং সাপ্লিমেন্টারি এডুকেশন ফর এলিমেন্টারি ক্লাসেস।
রাজ্যভিত্তিক জনজাতীয় দিবসের উদ্বোধকের ভাষণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর গত ৭৫ বছরে দেশের জন্য জনজাতিদের ত্যাগ, বলিদানকে স্বীকৃতি জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলিষ্ঠ ভাবনায় জনজাতিদের উন্নয়নে আজ জনজাতীয় গৌরব দিবস দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরসা মুণ্ডাকে সম্মান জানানো ও তাঁর ত্যাগ, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকাকে স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জনজাতিদের উন্নয়নে, জনজাতি সমাজের বিকাশে, তাঁদের সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে বিরসা মুণ্ডা আত্মত্যাগ করেছিলেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ভারতমাতাকে শক্তিশালী করতে শিক্ষা, কৃষি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জনজাতিদের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।

