সিপাহীজলা জেলা ডেপুটি ডাইরেক্টর ফিশারি অফিসে কর্মসংসৃকতি লাটে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ নভেম্বর৷৷  সিপাহীজলা জেলা ডেপুটি ডাইরেক্টর ফিশারি অফিসে কর্মসংসৃকতি লাটে উঠেছে৷ অফিসে না এসেও মোটা অংকের মাইনে গুনছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারীরা৷ সিপাহী জলা জেলা ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ ফিসারী অফিসে কর্মসংস্থিতির লাটে উঠেছে৷ যে যার মত করে অফিসে আসছে৷ আবার অফিস শেষ হওয়ার অনেক আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছে৷ দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডেপুটি ডাইরেক্টর অফিসারী অফিসে কর্মচারীদের খামখেয়ালিপনা৷ অফিসটি সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার অফিসের একেবারে পেছনে চতুর্দিকে ঘন রাবার বাগান এবং জঙ্গলে ঘেরা৷ একেবারে জন মানব শূন্য এলাকায় অফিসটি৷ যার ফলে অফিসের কর্মচারীরা সঠিক সময়ে অফিসে আসে না৷ শুধু সঠিক সময় নয় কোন কোন কর্মচারী সপ্তাহে মাত্র দুই দিন আসেন অফিসে৷ কাজের জন্য গিয়ে নাগরিকদের খালি হাতে অফিস থেকে ফিরে যেতে হয়৷ অফিসটিতে বর্তমানে ১০ জন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন৷ সোমবার  দিন শুধুমাত্র দুইজন কর্মচারী এসেছেন৷ একজন হেড ক্লার্ক পূর্ণচন্দ্র মুরাসিং, অন্যজন কমল দেবনাথ৷৷ অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় সোমবার দিন অফিসে গিয়ে৷ পূর্ণচন্দ্র মুড়াসিং হেড ক্লার্ককে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন অফিসে স্টাফ কম ,কোন কাজ নেই৷ যদি অফিসে কোন কাজ নাই থাকে তাহলে অফিসের কর্মচারীদের সরকার মোটা অংকের মাইনে দিচ্ছে কেন? প্রশ্ণ উঠছে নাগরিক মহলে৷ দীর্ঘদিন যাবত অফিসটি এভাবেই চলছে৷ আর এই অফিসের কর্মচারীরা বাড়িতে বসে মোটা অংকের মাইনে নিচ্ছে৷ অফিসের ডিরেক্টর ফেরত দেববর্মাও এই বিষয়ে একেবারে নিরব৷ উনার খামখেয়ালিপনার কারণেই কর্মচারীরা অফিস কামাই করে বাড়িতে বসে বেতন নিচ্ছেন৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর এলাকা৷ উপমুখ্যমন্ত্রী যাতে সিপাহীজলা জেলার ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ ফিসারি অফিসটির প্রতি নজর দেন এবং কর্মসংসৃকতি ফিরিয়ে আনতে যাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন সেই দাবি উঠেছে গোটা সিপাহীজলা জেলার নাগরিক মহলে৷ নাগরিকদের বক্তব্য এভাবে একটি সরকারি অফিস চলতে পারে না৷ প্রত্যেকদিন অফিসের প্রতিটি চেয়ার খালি থাকে৷ কিভাবে দিনের পর দিন এই অফিসের কর্মচারীরা অফিসে আসছেন না সেই কারণটি নাগরিকদের বোধগম্য হচ্ছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *