ঘূর্ণিঝড় হওয়ার অপেক্ষায় সাগরের নিম্নচাপ; বঙ্গে দুর্যোগের ভ্রূকুটি, উত্তাল হবে সমুদ্র

কলকাতা, ২২ অক্টোবর (হি.স.): ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার অপেক্ষায় আন্দামান সাগরে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনায় দুর্যোগের ভ্রূকুটি রয়েছে বঙ্গে, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। সোমবার দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে।

সুগভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর আগামী ২৪ অক্টোবর, সোমবারের মধ্যে পশ্চিম, মধ্য ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পরে, আগামী ২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার, এটি ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূল, ওড়িশা উপকূল ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। তত ক্ষণে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল ভাবে শক্তি বাড়িয়ে ফেলতে পারে। সেই সময় বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ থাকতে পারে, ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ২৪ অক্টোবর, সোমবার, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। ২৩ অক্টোবর থেকেই মৎস্যজীবীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর সুন্দরবন এলাকায় সমস্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সময় দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, সাগরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় পর্যটকদের ঢুকতে দিতে বারণ করা হয়েছে।

দুর্যোগের আগে ঠিক যেমন আবহাওয়া থাকে, সেভাবেই শনিবারের সকাল শুরু হয়েছে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এদিন সকালে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির আকাশ ছিল একেবারে পরিষ্কার। ভোরের দিকে হিমেল পরশও অনুভূত হয়েছে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। এদিন তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *