নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ অক্টোবর৷৷ আলোর উৎসব দীপাবলিকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ মৃৎশিল্পীরা চরম বস্তু ব্যস্ত প্রতিমা তৈরিতে৷ দেশ জুড়ে উৎসবের মরশুম চলছে৷ শারদীয়া, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোর পর এবার দোরগোড়ায় এসে কড়া নাড়ছে আলোর উৎসব দীপাবলি৷ আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরে আলোর উৎসবের দামামা বেজে উঠবে৷ আলোর রোষনাই ঝলমল করে উঠবে গোটা দেশের সাথে এ রাজ্যও৷ এরই অঙ্গ হিসেবে মূর্তি পাড়াতেও মৃৎ শিল্পীরা ব্যাস্ত প্রতিমা তৈরি করার জন্য৷ হাতে সময় কম, তাই খাওয়া দাওয়া ভুলে মৃৎশিল্পীরা চরম ব্যাস্ততার সঙ্গে মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন৷ মূর্তি পাড়ায় গিয়ে কথা হচ্ছিল মৃৎশিল্পী বাবুল রুদ্রপালের সঙ্গে৷ কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরি করার জন্য অর্ডারও বেশি পেয়েছেন৷ কিন্তু প্রতিমা তৈরি করার জন্য আনুষাঙ্গিক জিনিস গুলি অর্থাৎ বাঁশ,খড়, সহ বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে৷ উপরন্ত শ্রমিকের সমস্যা রয়েছে৷ প্রতিমা তৈরি করার জন্য টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছে না মৃৎশিল্পীরা৷ অপরদিকে প্রতিমা তৈরীর বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও প্রতিমার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি৷ তবে এই পেশায় আয় উপার্জন কম৷ সংসার চালানো দুষ্কর৷ ফলে এই পেশা থেকে অনেক মৃৎশিল্পী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ আয় উপার্জন কম থাকার কারণে নতুন প্রজন্মের যুবকরা এই পেশাতে যুক্ত হতে চায় না৷ অন্যদিকে এ বছর করোনা ভাইরাসের দাপাদাপি না থাকার কারণে তেলিয়ামুড়ার কালীপুজোর সংখ্যা বাড়লেও মৃৎ শিল্পীদের আয় উপার্জন বৃদ্ধি পায়নি৷
2022-10-21