আগরতলা, ১৪ অক্টোবর (হি. স.) : ত্রিপুরার প্রতিটি মহাবিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রিপুরার ২২টি কলেজের মধ্যে ২১টি কলেজ ইতিমধ্যেই নেক-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। কলেজগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ কৈলাসহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোদঘাটন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। ২৫ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল বিজ্ঞান ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোদঘাটন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫০ সালে এই কলেজটি যাত্রা শুরু করেছিল। তাপস চৈতন্য মহারাজ এই কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ড. শচ্চিদানন্দ ধর এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৮২ সালে ত্রিপুরা সরকার এই কলেজটি অধিগ্রহণ করেছে। বর্তমানে কলেজটিতে ২,৮৮২ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে। বর্তমানে এই কলেজে ১৯টি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা ১৬টি বিষয়ে অনার্স নিয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় এখন রসায়ণ এবং বাণিজ্য শাখার ইন্টিগ্রেটেড কোর্স চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনায় ছাত্রছাত্রীদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই ৯৯১ জন ছাত্রছাত্রীকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের যেন বহি:রাজ্যে যেতে না হয় রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমবাসায় একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়েতোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পড়াশুনার সাথে সাথে খেলাধূলাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সন্মান করতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী হীড়াছড়া চা বাগানে কর্মরত ৫ জন চা শ্রমিকের হাতে জমির পাট্টা এবং নিবেদিতা স্বসহায়ক দলের প্রতিনিধিদের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।মুখ্যমন্ত্রী নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবনের ফলক উন্মোচন করে ও ফিতা কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পর তিনি বিজ্ঞান ভবন ঘুরে দেখেন এবং ভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপন করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ও সমাপ্তি সঙ্গীত পরিবেশন করে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।