ঢাকা, ৪ অক্টোবর (হি. স.) : ফের অবৈধভাবে সমুদ্রপথ পেরিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ট্রলারডুবি। বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫ জন রোহিঙ্গা-সহ ৩৯ জনকে। এরা সম্ভবত টেকনাফের শিবিরেই থাকত। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি চর কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কোস্টগার্ড সূত্রে খবর।
টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মহম্মদ আশিক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হরমুনিয়া পাড়া এলাকার উপকূলবর্তী গভীর সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি। মঙ্গলবার সকালে ট্রলারটি যাত্রীবোঝাই করে নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সকলেই রোহিঙ্গা বলে জানা গিয়েছে। তবে সংখ্যায় তারা ঠিক কতজন ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। সমুদ্রে ঢেউয়ের ধাক্কায় আচমকাই এই ট্রলারটি ডুবে যায়। সমুদ্রে ভাসতে থাকে রোহিঙ্গারা। কাছেপিঠে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলির সাহায্য চেয়েও পায়নি।
কক্সবাজার টেকনাফের কোস্টগার্ডের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের তরফে আধিকারিক মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, “মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে গভীর সাগরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসতে থাকে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার জেলেদের সহায়তা চেয়েও তারা প্রথমে পাননি। পরে অবশ্য জেলেদের ছুঁড়ে দেওয়া বয়া ও জলের জারের সাহায্যে সাঁতরে রোহিঙ্গারা তীরে উঠে আসে। তবে এখনও অনেকে সাগরে ভাসছে।” এখনও যেসব রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসছে, তাদের দ্রুত উদ্ধার করা না গেলে প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ভাসমান রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ মহিলা, বাকি সকলেই পুরুষ।

