আপডেট : টেট উত্তীর্ণদের পর্যায়ক্রমে অফার ছাড়া শুরু হয়েছে, ৩১০৮ জন টেট উত্তীর্ণদের অফারের অনুমোদন : শিক্ষামন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ সেপ্টেম্বর : বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে টেট উত্তীর্ণদের পর্যায়ক্রমে পূজার আগেই অফার ছাড়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২৫৬ জন ও আজ ২৫৮ জন টেট উত্তীর্ণদের অফার ছাড়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ জানান, গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৩,১০৮ জন টেট উত্তীর্ণদের অফার দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে দুইদিনের অফার প্রাপ্ত সহ মোট ৩৬২২ জন টেট উত্তীর্ণ চাকুরী পাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরে মোট ৩,৪৪৭ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দপ্তরে ফ্যাকাল্টি সহ বিভিন্ন পদে ১০৭২ জনকে আগেই নিয়োগ করা হয়েছিল। সম্প্রতি আরো ১৭৯ জনকে পিজিটি পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১০টি পদে পিজিটি নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং শীঘ্রই এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এস টি জি টি আরও ২৩০ জন নিয়োগের জন্য টিআরবিটি’র কাছে রিক্যুইজিশন চাওয়া হয়েছে। টিআরবিটি’র মাধ্যমে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে স্পেশাল এডুকেটর ২০০ জন এবং ১০০ জন অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলার নিয়োগের জন্য অক্টোবর মাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কোভিড় পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে নবম শ্রেণীতে পাঠরত সকল ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই এবছর দুটি শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে মোট ৪৪,৬৭৩ জন নবম ও দশম শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রীকে বাইসাইকেল প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ১৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। প্রতিটি সাইকেলের মূল্য ৩৮২০ টাকা। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। পুজোর পরেই তা দেওয়া হবে।শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনীমূলক মডেল আবিস্কারের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের দুই জন ছাত্রছাত্রী অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। শিশু বিহার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মধুরিমা দাস সর্বভারতীয় স্তরে দ্বিতীয় এবং মোহনপুরের জগৎপুরের উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিল সাহা পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। শিক্ষামন্ত্রী জাতীয়স্তরের এই সাফল্যের জন্য শিক্ষকমন্ডলীসহ পুরস্কার প্রাপক কৃতি ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারের ফলেই বিভিন্ন স্তরে ছাত্রছাত্রীরা মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *