নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর : মঙ্গলবার কলকাতাগামী কাঞ্চনঝঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা ধর্মনগর রেলস্টেশনে প্রবেশের পর উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, পুর পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার এবং সমাজসেবী শ্যামল নাথ মুখ্যমন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়ার পর আর তাদেরকে একবারও চোখে পড়ল না৷ শুধুমাত্র তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী ধর্মনগর থেকে চলে যান বাগবাসা গোডাউনের উদ্বোধনে৷ এই গোডাউনটির কাজ করিয়েছে এক রাজ্যস্তরের নেতার ছোট ভাই৷ সেখানে কৃষি জাতীয় জিনিসের গোডাউনের উদ্বোধন হলো৷ দেখা গেল না কিষাণ নেতা বীরেন্দ্র দাস, উত্তর জেলা কিশান মোর্চার সভাপতি বৃন্দাবন দাস, পানিসাগর কৃষির বিভাগের আওতাধীন হলেও পানিসাগরের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস , যুবরাজ নগর আরডি ব্লকের আওতাধীন যুবরাজনগর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন শ্রীপদ দাস, এলাকার বিজিত বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমার নাথ সবার অনুপস্থিতিকে উদ্বোধন হলো গোডাউনের৷ একই অবস্থা প্রকট হয়ে উঠল ইথাইলাল ছড়া ট্রানজিট গোডাউন এর উদ্বোধনে৷ জনা কয়েক লোকের উপস্থিতিতে এই গোডাউন দুটির উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হল৷ উল্লেখ্য বারবার পত্র-পত্রিকায় উঠে আসা বাগবাসা মন্ডল এর সভাপতি তার আর দুর্নীতি ঘাটতি নাকি অধিকাংশ লোককে এড়িয়ে চলে যাচ্ছেন৷ এদিকে পূর্বহুরোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাবের পর এক সপ্তাহের পরিবর্তে দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কোন সমাধান না হওয়ায় জানা গেছে কংগ্রেস শাসক দল বিজেপিকে সরিয়ে পঞ্চায়েত দখল করতে চলেছে৷ দুর্নীতি পরায়ণ প্রাক্তন প্রধান বেলা রানী ঘোষ নাকি মন্ডল সভাপতি সুদীপ দেবের অতি ঘনিষ্ঠ বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে৷
2022-09-27