নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর : খোয়াইয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত বিদ্যুৎ শ্রমিকের পরিবার পরিজনদের পাশে দাঁড়াল আদিবাসী সমিতি৷ অল আদিবাসী এসোসিয়েশন অফ ত্রিপুরা সংগঠনের উদ্যোগে এক প্রতিনিধি দল মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ আর্থিক সাহায্য ও আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন তারা৷ মৃত শ্রমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক ভাবে মারা যাওয়ার চারদিন কেটে যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট ঠিকেদার ও বিদ্যুৎ নিগমের কোন আধিকারিক এখন পর্য্যন্ত অসহায় পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানাননি৷ অথচ বিদ্যুৎ লাইনের দুর্ঘটনার জন্য ঠিকেদার ও বিদ্যুৎ নিগমের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও গাফিলতিই দায়ী বলে অভিযোগ৷
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার খোয়াইয়ের ধলাবিলে বনবীথি ইকো পার্কের সামনে বিদ্যুৎ লাইনের লাগোয়া গাছগাছালির ডালপালা ছাঁটতে গিয়ে আচমকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ছনখলার তুইহাসিংবাড়ির দীন দয়াল সর্দার পাড়ার সুধীর মুন্ডা(১৬) নামে জনৈক নাবালক অস্থায়ী বিদ্যুৎ শ্রমিক৷ অথচ ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকেদার ছনখলার দিলীপ দেববর্মা বা ধলাবিল সাব স্টেশনের সিনিয়র ম্যানেজার পরেশ দেববর্মা এখনো নাবালক শ্রমিকের পরিবারের সাথে দেখাও করেনি৷কোনরকম সাহায্য সহায়তা তো দূরের কথা নূন্যতম সহানুভূতি পর্যন্ত দেখানো হয়নি৷ ফলে পরিবারটি এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে৷ শ্রমিকের পরিবার এখন অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ অল আদিবাসী অ্যাসোসিয়েশন অফ ত্রিপুরা সংগঠন এগিয়ে এসে পরিবারটির পাশে সহমর্মিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন৷ সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল ঐ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷
প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমেন সাঁওতাল, সম্পাদক কর্ণজিত তাঁতি, অসিত তাঁতি সহ অন্যান্য৷ পরিবারের সদস্যদের সাথে বিস্তারিত কথা বলেন আইনি সহায়তা আশ্বাস প্রদান করেন৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমেন সাঁওতাল জানান, এমনকি ঘটনার চারদিন পরেও নিগমের এ জি এম বা ডি জি এম কেহই অসহায় পরিবারের লোকজনদের সাথে দেখা করেননি৷ জেলা প্রশাসন বা মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন আধিকারিক এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহত বিদ্যুৎ শ্রমিকের পরিবারটির সাথে দেখা করার সময় করে উঠতে পারেননি৷ আগামী দু-একদিনের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন এবং জেলা শাসক মহকুমা শাসকের সাথে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাক্ষাৎ করবেন৷ ঠিকেদার, বিদ্যুৎ নিগম ও প্রশাসনের এধরনের অমানবিক ও নির্দয় আচরণে এখানে স্থানীয় মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভে বিরাজ করছে৷ যে কোন সময় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

