নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : রাজস্থান রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়েও জটিলতা বাড়ছে। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র পেশ নাও করতে পারেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদেই থাকতে চান।
সোমবার গেহলট বলেন, আমি কংগ্রেস অনুগামীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে রাজি। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের জন্য চেয়ার ছাড়ব না। এই আবহে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কমল নাথ কিংবা দিগ্বিজয় সিং সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। এদিনই তিনি বলেন, কোনও বিশ্বাসঘাতকের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়ব না। তাঁর ইঙ্গিত উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের দিকেই।
রবিবার সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল, গেহলটের ছেড়ে যাওয়া আসনে বসবেন তাঁরই চির প্রতিদ্বন্দ্বী সচিন পাইলট। সেইমতো সন্ধ্যায় জয়পুরে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে যোগ দিতে জয়পুরে আসেন এআইসিসির পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেন।
কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই গেহলট তাঁর অনুগামী বিধায়কদের দিয়ে পাইলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়ে দেন। প্রায় ৯০ জন বিধায়ক বেঁকে বসেন। তাঁরাও বলেন, বিশ্বাসঘাতককে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে দেওয়া যাবে না। পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন বলেও হুমকি দেন। পরিস্থিতি তখন অন্যদিকে মোড় নেয়।
এরই মধ্যে সোমবার কংগ্রে্স মহলে খবর, কমল নাথ কিংবা দিগ্বিজয় সিং সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে গান্ধী পরিবারের উপর। তবে গেহলট যে সোনিয়া, রাহুলকে বিব্রত করছেন পদে পদে, তা দলের অনেক নেতাই মেনে নিচ্ছেন।

