হবিবপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : মালদার হবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরইল গ্রামে গৃহবধূর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার। শুক্রবার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় । মৃতার নাম সাবিত্রী রায় (২৬)। খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী বচ্চন ওরফে বাচ্চু টুডু (৩০)-র বিরুদ্ধে। তাকে আটক করা হয়েছে।
নিরইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সাবিত্রী রায়। বাবা গণেশ রায় ও মা মাধো রায় মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। দাদা উত্তম রায় বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ি চলে গিয়েছেন দুই বোন মৌমিতা এবং বুধনি। বাড়িতে একা সংসার চালাতে আয়ের তেমন ব্যবস্থা ছিল না সাবিত্রীদেবীর। তাই বছর দুয়েক আগে সাবিত্রীদেবী কাজের খোঁজে চলে যান ভিনরাজ্যে। সেখানে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয় অন্য এক শ্রমিক বচ্চন ওরফে বাচ্চু টুডুর সঙ্গে। আলাপে সাবিত্রীদেবী জানতে পেরেছিলেন, বচ্চন টুডু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার করদহ এলাকার বাসিন্দা। একই জায়গায় কাজের সূত্রে সাবিত্রী রায়ের সঙ্গে বচ্চন টুডুর সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরই দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বছরখানেক আগে দু’জনে বিয়েও করেন। এরপর দু’জন ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। ফিরে এসে সাবিত্রীদেবী করদহে স্বামীর বাড়িতে সংসার শুরু করেন। কিন্তু মাস দুয়েক আগে সাবিত্রীদেবী স্বামীর আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। এরপরই সাবিত্রীদেবী করদহের স্বামীর বাড়ি থেকে নিরইল গ্রামে চলে আসেন। দিন দশেক আগে হঠাৎই বচ্চন টুডু স্ত্রী সাবিত্রীদেবীর বাড়ি হাজির হন। এরপর তাঁরা দু’জন একসঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হঠাৎই খুন বলে চিৎকার করতে থাকেন সাবিত্রীদেবীর স্বামী। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এরপরই তাঁরা গৃহবধূর মুণ্ডহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় হবিবপুর থানায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, স্বামীই তাঁকে খুন করেছে। তবে কেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। হবিবপুর থানার আইসি সুবীর কর্মকার জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

