Assam:মহামণ্ডলেশ্বর কেশবদাস মহারাজের হাতে উদ্বোধিত ভিএইচপি গো-রক্ষা বিভাগের পাঁচ দিবসীয় অনুশীলন বর্গ

গুয়াহাটি, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বিশ্বহিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর উত্তরপূৰ্ব ক্ষেত্র গো-রক্ষা বিভাগের পাঁচদিবসীয় অনুশীলন বৰ্গের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মহামণ্ডলেশ্বর কেশবদাস মহারাজ। গুয়াহাটির হরিয়ানা ভবনে এই অনুশীলন বর্গ ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে আজ শুক্রবার, চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আজ মহামণ্ডলেশ্বর পূজ্য কেশবদাস মহারাজ ভরাতমাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও গো-পূজার মাধ্যমে অনুশীলন বর্গের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেশবদাস মহারাজ বলেন, গো-ধন ভারতমাতার কেন্দ্রবিন্দু, আত্মা। ভারতবর্ষের এই পবিত্র ভূমিতে যতদিন গরুর রক্ত ঝরতে থাকবে ততদিন ভারত উন্নতি করতে পারবে না। যে আশ্রমে গরু নেই, যে বাড়িতে গরু নেই, যে মন্দির প্রাঙ্গণে গরু নেই, সবই হোটেল বা ধর্মশালার মতো। তিনি বলেন, গোশালার পাশাপাশি ঘরে ঘরে গোপালন করতে হবে, প্রতিটি বাড়িতে গোমাতা থাকতে হবে। আজকের অনুশীলন বর্গে বক্তব্য পেশ করেছেন বিদ্যাভারতীর ক্ষেত্র সংগঠনমন্ত্রী পবন তিওয়ারি।

গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন অঙ্কুর বেজবরুয়া। অমুষ্ঠানে ভিএইচপি গো-রক্ষা বিভাগের সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং অভিভাবক উমেশচন্দ্র পড়োওয়াল অনুশীলন বর্গের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণকুমার শর্মা এবং প্ৰদেশ গোরক্ষা প্রমুখ তথা হরিয়ানা ভবনের সভাপতি সুরেন্দ্র গোয়েল। অতিথিদের স্বাগত জানান সমর ঘোষ, বিনোদ ওঝা।

বৰ্গাধিকারী পূজ্য সন্ত গোবিন্দগিরি মহারাজ জুনা আখড়া মা কামাখ্যা, তেজপুর বিভাগের সংগঠনমন্ত্রী এবং বৰ্গের মুখ্যশিক্ষক শশীকান্ত পাণ্ড, ভিএইচপি গোরক্ষা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং অভিভাবক উমেশ পড়োওয়াল বর্গের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেন। বিশেষ অতিথি (প্রাক্তন আইএএস) এবং ভিএইচপির কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রমেশ দত্ত, ত্রিপুরা গোরক্ষা-প্রধান অরূপ দেবনাথ, দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত প্রমুখ সমর ঘোষ, ধরঞ্জো দেবী, সোমা পুরোহিত, অজিত গোস্বামী মহেন্দ্র যজ্ঞে অংশগ্ৰহণ করেছেন।

ভিএইচপি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংগঠনমন্ত্রী দীনেশ তিওয়ারি সংগঠনের বিষয় ও সম্প্রসারণের ওপর বক্তব্য পেশ করেন। বর্গে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল, অর্থাৎ অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় রাজ্যের ৫২ জন বিশিষ্ট কর্মী অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রতিদিন সকাল ৬-টা থেকে ৭-টা পর্যন্ত যজ্ঞের মাধ্যমে শুরু হয় বর্গ। এর পর ঋণমুক্ত কৃষক, কর্মসংস্থান যুবকদের ল্যাবরেটরি থেকে সন্ধ্যায় গরুর পণ্য উৎপাদনের মতো বিষয়াদির উপর আলোচনা করা হয়। গো-রক্ষার ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে এটি অবশ্যই কাজ করবে তা অনুশীলন বর্গ থেকে স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *