যোরহাট / ধুবড়ি (অসম), ১৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশন দফতরের পৃথক দুই অভিযানে রাজ্যের দুই প্রান্ত থেকে ঘুষখোর দুই সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। দুৰ্নীতি নিবারক দফতরের আধিকরিকরা আজ শনিবার উজান অসমের যোরহাটে সিনিয়র মেডিক্যাল ইনস্পেক্টর জাহ্নবী কলিতা এবং নিম্ন অসমের ধুবড়ি জেলার বিলাসীপাড়া সার্কল অফিসের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট মেহবুব মোল্লাকে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করেছেন দুর্নীতি দমনের অফিসাররা।
যোরহাটে সিনিয়র মেডিক্যাল ইনস্পেক্টর জাহ্নবী কলিতা জনৈক ব্যক্তির কাছে ফাৰ্মাসি খোলার লাইসেন্স প্রদানের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। পরে ব্যক্তিটি দুৰ্নীতি দমনের শরণাপন্ন হন। পরে দুৰ্নীতি নিবারক শাখার কষা ছক অনুযায়ী আজ বেলা প্রায় ১২.৫৫ মিনিটে দুৰ্নীতিগ্ৰস্ত মেডিক্যাল ইনস্পেক্টর জাহ্নবী কলিতাকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেন মহিলা অফিসাররা। তাকে নগদ সহ ধরার পর অফিসে এবং তাঁর বাড়িতে তালাশি চালানো হয়। তালাশি চালিয়ে জাহ্নবীর বাসগৃহ থেকে দুর্নীতি দমনের দল নগদ ৭,৭৩,৭০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে।
এদিকে নিম্ন অসমের ধুবড়ি জেলার বিলাসীপাড়া রাজস্ব সার্কল অফিসে হানা দেয় দুর্নীতি দমনের পৃথক একটি দল। কাৰ্যালায়ের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট মেহবুব মোল্লাকে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ঘুষখোর মেহবুব মোল্লা জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে জমির সীমা নিৰ্ধারণের জন্য ৪,০০০ টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। বিলাসীপাড়ায় ঘটনাটি বেলা প্রায় ২.১০ মিনিট নাগাদ সংঘটিত হয়েছে।

