আহমেদাবাদ, ১৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ভারতীয় জ্ঞানের উজ্জ্বল ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত বলেন, বিশ্ব এখনও জ্ঞানের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের এই উজ্জ্বল ও প্রাচীন ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ‘আত্মকে’ চিনতে হবে এবং তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে হবে।
ভারতীয় চিন্তা মঞ্চ গুজরাটের উদ্যোগে গুজরাট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ফ্রম ফ্রিডম টু ফ্রিডম: টুওয়ার্ডস এ মাল্টিডাইমেনশনাল ডিসকোর্স শীর্ষক আলোচনার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত। এই উপলক্ষে ডক্টর ভাগবত ভারতীয় চিন্তা মঞ্চের নতুন প্রকাশিত বইও প্রকাশ করেন।
সংঘের সরসঙ্ঘচালক ডঃ ভাগবত ভারতীয় জ্ঞান ঐতিহ্যের সাধকদের উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি দেশ যখন জ্ঞানের বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়, তখন সে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিরাও এর ভিত্তিতে আমাদের বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তনের অনুরোধ করেছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতার যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে বলেন, আমরা একটি প্রাচীন বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের অংশ। প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজস্ব প্রকৃতি এবং তার ‘স্ব’ বৃত্তে বিকাশ করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের আত্মাকে বুঝতে বোধহয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। দেশের দুটি অংশই স্বাধীন হলেও ধীরে ধীরে শুরু হয় ‘আত্ম’ উপলব্ধির প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, পশ্চিম দেশগুলি বস্তুগত সুখের পরিধিকে বাইরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে, কিন্তু আমাদের লোকেরা তা খুঁজে পেয়েছে। বাহ্যিক সুখেরও একটা সীমা আছে। আত্মার সুখ নেই। আধ্যাত্মিকতা আমাদের ‘স্ব’ উৎপত্তির ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ কখনও সফল হয় না কারণ তাদের পরিণতি ভোগ করতে হয়। মহাভারতের মহাপুরুষরা এর উদাহরণ। আমরা যদি আমাদের জনশৃঙ্খলা, প্রশাসনের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় মূল্যবোধ ও চিন্তাভাবনা বাস্তবায়ন করি, তাহলে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।