কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর (হি স)। ফের ধরা পড়ল আরও এক জঙ্গি। এবার আল কায়দার শাখা সংগঠন একিউআইএস (আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট) -এর সদস্যকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ফয়জল আহমেদ ওরফে শাহিদ মজুমদার নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে পেশ করা হয়। ওই যুবক বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বের জঙ্গি সন্দেহে হাসনাথ শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল উত্তর প্রদেশের শাহরানপুর থেকে। তাঁকে জেরা করেই এই ফয়জল আহমেদের নাম সামনে আসে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত মাসে বারাসতের শাসনে তল্লাশি চালিয়ে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাঁদের সঙ্গেও আল-কায়দার যোগ আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম একিউআইএসের সঙ্গে যুক্ত হয়। আনসার আল ইসলাম তাদের টুইটার পেজে নিজেদের একিউআইএসের বাংলাদেশ শাখা দাবি করে। আনসারুল্লাহ বা আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩টি হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। এর পর ছ’বছরে ভারতে নাশকতামূলক বেশ কিছু ঘটনায় তাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) বাংলাদেশে যথেষ্ট তৎপর বলে ২০১৭-তেই জানিয়েছিলেন আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর প্রধান জেনারেল জন ডব্লিউ নিকোলসন। মার্কিন মিলিটারি একাডেমির (ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি একাডেমি) শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কমব্যাটিং টেররিজম সেন্টারকে (সিটিসি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেন তিনি।নিকোলসন বলেন, বাংলাদেশে একিউআইএসের প্রচুর তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছি। বাংলাদেশে এই সংগঠনের অনুসারীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। মূল আল-কায়েদার সঙ্গে একিউআইসের যোগাযোগ রয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ১৭ আগস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগণার শাসন থানা এলাকার খড়িবেড়িয়া থেকে দুই জঙ্গি ধরা পড়ে। সেই সূত্র ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবার ও মুম্বাই থেকে সাদ্দাম হোসেন খান ও সমীর হোসেন শেখ নামে দুই জঙ্গি ধরা পড়ে।
তাদের জেরা করে ‘কোয়াতুল হিন্দ’ নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। এই সংগঠনের নাম শুনে প্রথমে তাজ্জব হয়ে যান রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা। এরা সবাই একিউআইএস ( আল কায়দা ইন দ্যা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট)-এর সদস্য ছিল। সেহেতু নতুন সদস্য বানানোর জন্য ‘কোয়াতুল হিন্দ ‘ নামে সংগঠনের নাম ব্যবহার করছিল। ধৃত ফয়জল আহমেদকে জেরা করে বিশদ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

