ঝাড়গ্রাম, ৮ সেপ্টেম্বর ( হি. স.) : পঞ্চায়েতের উন্নয়নের অর্থ তছরুপ এবং একাধিক প্রকল্পের কাজ না করে টাকা খরচ এবং উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ন না করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত প্রধানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর দুই ব্লকের বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সাতারো দফা দাবি নিয়ে গণ স্মারকলিপি জমা দেন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন দুপুরে এই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ জন এই স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানের কাছে সতেরো দফা দাবি নিয়ে কয়েক জন প্রতিনিধি স্মারকলিপি জমা দেন।বাঁশপাহাড়ি অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ একশো দিনের কাজ,শৌচালয় নির্মান,বাড়ি তৈরি সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্নীতি করা হয়েছে। বাড়ি পাওয়ার তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকে অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বেনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়েছে।পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকটি রাস্তা যাতে দ্রুত করা হয় সেই জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কোন খাতে কত টাকা ব্যায় করা হয়েছে তা পনেরো দিনের মধ্যে জানানোর জন্য প্রধানকে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য বাঁশপাহাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্নীতি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে বাঁশপাহাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল। এদিন বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রধানের কাছে স্মারক লিপি দেওয়া হয়। পনেরো দিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক হিসেবে দেওয়া হবে বলে লিখিত আশ্বাস দেন প্রাধান বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে বাঁশপাহাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান পার্বতী মুড়া বলেন “আমরা কোন দূর্নীতি করিনি।
আমরা ওনাদের লিখিত দিয়েছি। পনেরো দিনের মধ্যে সব হিসেব দেওয়া হবে।তাহলে বোঝা যাবে দূর্নীতি হয়েছে কি হয় নি “। বাঁশপাহাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক ফটিক মাহাতো বলেন ” পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্নীতি করা হয়েছে। আমরা বারে বারে জানতে চেয়েছিলাম কোন খাতে কি খরচ হয়েছে। কিন্তু তারা কোন হিসেবে দেয় নি।আমরা এদিন ১৭ দফা দাবি নিয়ে স্মারক লিপি জমা করেছি।প্রধান লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন তারা পনেরো দিনের মধ্যে হিসেব দেবেন।”