নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর (হি.স.): খুব শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে মিলবে সারভাইক্যাল ক্যানসার বা জরায়ু মুখের ক্যানসারের প্রথম টিকা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। তিনি বলেছেন, “জরায়ু মুখের ক্যান্সারের ভ্যাকসিন কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আগে আমাদের দেশ পাবে এবং পরে বিশ্বকে দেওয়া হবে। ২০০-৪০০ টাকার মধ্যে দাম হতে পারে, তবে দাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি৷ ২ বছরে ২০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।”
কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার টিকাটির বাজারে আসার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, “জরায়ু মুখের ক্যান্সারের জন্য প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে ভারত। আমরা এখন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা খোঁজার সামর্থ্য রাখতে পারি, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এই ভ্যাকসিন সাশ্রয়ী মূল্যের হবে।”
করোনা টিকা তৈরি করে বিশ্ব জুড়ে কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। এ বার সেই আদর পুনাওয়ালার সংস্থা সিরামই বাজারে আনতে চলেছে জরায়ু মুখের ক্যানসারের টিকা। এই ক্যানসারের পেছনে রয়েছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। আর সেই ভাইরাসকেই রুখতেই কাজে আসবে সিরামের এই নয়া টিকা।
কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারপার্সন এন কে অরোরা বলেছেন, ‘‘আমরা ভীষণ আনন্দিত এই ভেবে যে অবশেষে আমাদের মেয়েরা বহুপ্রতীক্ষিত এই টিকা পেতে সক্ষম হবেন। এই টিকা ভারতেই তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, সেটা আরও আনন্দের। আমি আশা করছি, ৯ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের জন্য টিকাদান কর্মসূচি খুব শীঘ্রই চালু হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় জরায়ু মুখের ক্যানসার এইচপিভি ভাইরাসের কারণেই হয়। সিরামের টিকা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। আমরা যদি কমবয়সি মেয়েদের এই টিকা দিতে পারি, তা হলে আশা করা যায়, ৩০ বছর পর এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।’’