বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে বসে নেই, করিমগঞ্জ স্টেশনে সশরীরে হাজির বিধায়ক কমলাক্ষ, শুভেচ্ছা জানান নিয়োগ-পরীক্ষার্থীদের

করিমগঞ্জ (অসম), ২৮ আগস্ট (হি.স.) : কাছাড় জেলায় অনুষ্ঠিত সরকারি বিভিন্ন বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ-পরীক্ষার্থীদের যায়াতের সুবিধার্থে শুধুমাত্র বিশেষ ট্রেনের আবেদন জানিয়ে‌ই নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করেননি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, আজ সাতসকালে করিমগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সশরীরে উপস্থিত থেকে নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের শুভকামনা জানাতেও ভুলেননি তিনি।

২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার পাঁচ হাজারের অধিক নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারেননি। কাটাখাল এলাকায় জাতীয় সড়কে দীর্ঘ সময় ট্রাফিক জ্যাম থাকায় সেদিন করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়োগ-প্রার্থীরা সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। আর যে সকল মুষ্টিমেয় প্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের ১০-১৫ মিনিট দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদেরকে পরীক্ষায় বসতে দেননি। শেষ পর্যন্ত একরাশ বিরক্তি ও হতাশা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা না দিয়েই হাজার হাজার নিয়োগ প্রার্থীকে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল।

তাই দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার জন্য কাছাড় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তোলা পরীক্ষা কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছতে পারবেন কি না এ নিয়ে নিয়োগ-প্রার্থী সহ অভিভাবকগণ‌ও গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার নিয়োগ-প্রার্থীদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষার দিনের জন্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে উত্তরপূর্ব রেলওয়ের বদরপুরে অবস্থিত এরিয়া ম্যানেজারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কমলাক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপূর্ব রেলওয়ে আজ সকাল ছয়টায় (৬:০০ ঘণ্টা) করিমগঞ্জ থেকে শিলচর একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দেয়।

কমলাক্ষের এই প্রচেষ্টার জন্য দুই জেলার নিয়োগ-প্রার্থী ও অভিভাবকগণ, সুশীল সমাজ ইতিমধ্যে তাঁকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। এরই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় কমলাক্ষকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।

এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলায় কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা না করায়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার ভুক্তভোগী নিয়োগ-প্রার্থী সহ সচেতন নাগরিক সরকারের মুণ্ডুপাত করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছিলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেননি। এমন-কি নিয়োগ পরীক্ষার জন্য করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলায় কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা না করা নিয়েও সাধারণ জনমনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।