আগরতলা, ২৫ আগস্ট (হি. স.) : দিব্যাঙ্গজনদের সকলেই কোন না কোন বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হন। সঠিক পরিচর্যা ও পরিষেবা পেলে তাঁরাও সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারেন এবং তাঁদের প্রতিভাও বিকশিত হবে। আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে তাঁদের সেই প্রতিভার বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে দিব্যাঙ্গজন ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা একথা বলেন।
এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়েই দিব্যাঙ্গজনদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। তাঁদের অগ্রগতির জন্য আগামী দিনে আরও নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হবে। বর্তমানে ত্রিপুরার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে দিব্যাঙ্গজনদের চলাচলের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র ভারতবর্ষে দিব্যাঙ্গজনদের আরও বেশী পরিষেবা ও সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এক দেশ এক সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও এই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। তিনি বলেন, সমাজের প্রত্যেক দিব্যাঙ্গজন ব্যক্তি যেন এই সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সকলের মতো দিব্যাঙ্গজনদেরও সমমর্যাদায় বেচে থাকার ও শিক্ষা অর্জন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের অবহেলা না করে সঠিক পরিচর্যা ও ভালোবাসা দিয়ে তাঁদের প্রতিভার বিকাশে আমাদের সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাঁদের মনে সৃজনশীল কিছু করার প্রেরণা ও উদ্বিপনা জাগ্রত করতে হবে। এদিন তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আশাবাদী যে জিলা পরিষদের মতো সরকারের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাও দিব্যাঙ্গজনদের উন্নয়নে ও কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবেন। সেইসাথে তিনি নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন নরসিংগড় দৃষ্টিহীন দিব্যাঙ্গজন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ৩০ জন দিব্যাঙ্গজন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা ও পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সহ অন্যান্য অতিথিগণ তাঁদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।

