পাঞ্জাবে পুলিশের গলদেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ

নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট (হি. স.) : পাঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য সে রাজ্যের পুলিশকেই দায়ী করল । বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি । বৃহস্পতিবার কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে ।

পাঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। ঘটনার তদন্তে বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । এদিনের শুনানিতে কমিটির পেশ করা রিপোর্ট পড়ে শোনানো হয় আদলতের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, সেদিন ফিরোজপুরের এসএসপি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে ওই সড়কপথ দিয়েই যাবেন তা ২ ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল ফিরোজপুরের কর্তব্যরত এসএসপিকে। পাঞ্জাব পুলিশের ওই আধিকারিকের কাছে পর্যাপ্ত বাহিনীও ছিল। এরপরেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। একদিকে যেমন পাঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে, এইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রেকে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পাঞ্জাব সফরে কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ২০ মিনিট মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে। দাঁড়িয়ে থাকে বিরাট কনভয়। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পাঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুরু হয় কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতর। ঘটনায় পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলে বিজেপি । যদিও সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস । পরে বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে আপ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান।

প্রসঙ্গত, ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট যেদিন পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে দেয়, সেদিন সকালে শীর্ষ আদালতের একাধিক আইনজীবীর কাছে লাগাতার হুমকি ফোন এসেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সবক’টি ফোনের নির্যাস একইরকম, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, বিচারপতিদেরও সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল হুমকি ফোনে।