করিমগঞ্জ (অসম), ২৩ আগস্ট (হি.স.) : উত্তর করিমগঞ্জের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমকে গান্ধী কলেজের শিক্ষার্থীরা এবার থেকে স্নাতক পরীক্ষা নিজ কলেজেই দিতে পারবেন। ২০১৭ সালে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমকে গান্ধী জুনিয়র কলেজ মহাবিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ওই অঞ্চলে একটি উন্নতমানের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেছে। অনেক আগে থেকেই রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র। এবার জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পরীক্ষা কেন্দ্র শুরু হয়েছে এমকে গান্ধী কলেজে। এ নিয়ে রীতিমতো আনন্দের জোয়ার বইছে বৃহত্তর ফকিরবাজার এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার জেলার প্রবীণ সমাজসেবী, বিশিষ্ট লেখক, অধ্যাপক নিশীথরঞ্জন দাসের পৌরোহিত্যে কলেজের প্রেক্ষাগৃহে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবক মণ্ডলী সহ সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্নাতক পরীক্ষা কেন্দ্র এসেছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরী। এই পরীক্ষা কেন্দ্র এবং জুনিয়র কলেজকে মহাবিদ্যালয় হিসেবে গড়তে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ। বিশেষ করে প্রয়াত ড. কামালউদ্দিন আহমদকে স্মরণ করেন তিনি।
এদিনের সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে করিমগঞ্জ বিএড কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রামেন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সবই ভগবানের ইচ্ছে, ভগবানের ইচ্ছাতেই যথাসম্ভব সমাজের জন্য কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আগামী দিনেও করে যাব বলে আশাবাদী তিনি। রামেন্দ্রবাবু এমকে গান্ধী কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল স্বরূপ এই মহাবিদ্যালয় বলে মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক নিশীথরঞ্জন দাস বলেন, করিমগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত ড. কামালউদ্দিন আহমদ আজ পৃথিবীতে থাকলে এই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেন। এমকে গান্ধী কলেজের এই সাফল্যে তিনি অত্যন্ত খুশি হতেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতার মুক্ত প্রতীক। এমকে গান্ধী কলেজের দীর্ঘ পথচলায় তাঁর অবদান অপরিসীম। প্রয়াত অধ্যক্ষের আত্মার শান্তি কামনা করেন নিশীথ রঞ্জন দাস।
বক্তব্য পেশ করেন স্থানীয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি কলেজের শৈক্ষিক পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন বিধায়ক। এমকে গান্ধী কলেজে স্নাতকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের শ্রেণিকক্ষ নেই। তাই কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য শীঘ্রই পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কমলাক্ষ। এছাড়া রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে আরও মোটা অঙ্কের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।
এছাড়াও এদিনের সভায় বক্তব্য পেশ করেছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলি, শিক্ষাবিদ সাইদুর রহমান চৌধুরী, জিপি সভাপতি ইসফাক আহমেদ চৌধুরী, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মসরুর আহমেদ চৌধুরী সহ অন্যরা।