আগরতলা, ২০ আগস্ট (হি. স.) : ত্রিপুরায় শিল্পের হাল ফেরাতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। সমাজদ্রোহীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো সত্বেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, সমাজদ্রোহীদের তাঁদের ভাষায় বোঝাতে হবে এবং তাঁদের মতোই ব্যবস্থা নিতে হবে। আজ শনিবার বোধজংনগরে শিল্পতালুক পরিদর্শনে গিয়ে একাধিক অব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের ভীষণ অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের হাল ফেরাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ ত্রিপুরা ইনডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারে শিল্পপতিদের সাথে মত বিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভীষণ অবাক হয়েছি জেনে পুলিশে একাধিক এজাহার হলেও সমাজদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। পুলিশের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়। ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক এখানে উপস্থিত আছেন। তাঁকে বলছি, সমাজদ্রোহীদের সাথে তাঁদের মতোই ব্যবহার করা হোক। তাঁরা সন্ত্রাস করলে আপনারাও সন্ত্রাসী আচরণ করুন।
এদিন বোধজংনগর পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, আইজি আইন-শৃংখলা, বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র সহ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সরকার শিল্পের বিকাশ ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণের উপর অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে। শিল্প গড়ে উঠলে রোজগারের সুযোগও সৃষ্টি হবে।শিল্পোদ্যোগীদের সাথে মতবিনিময়ের সময় মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের বিকাশে এই শিল্পনগরী এলাকায় যাতে আইন শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন থাকে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শিল্পোদ্যোগীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে আরক্ষা প্রশাসনকে কঠোর নজর রাখতে হবে। তাছাড়াও শিল্পনগরী এলাকায় যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বিদ্যুৎ নিগম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এখানকার যে সমস্ত শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়ে আছে, তা পুনরায় চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এখানকার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের উপরও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, শিল্পের বিকাশে রপ্তানি বাণিজ্যের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।