নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ আগস্ট৷৷ ৬ মাস ধরে বেহাল জাতীয় সড়ক৷ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই৷ বাম বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন থেকে শুরু করে ব্লক চেয়ারম্যান সুব্রত দেব সহ শাসক দলের কোন নেতারাদের পাত্তা মিলেনি এতোদিন৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা দিল্লিতে কি হলো সেটা নিয়ে আন্দোলন করেন তবে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে সবাই নিরব৷ দেখিয়ে দিলো বাঘন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা৷ প্রখর রোদের মধ্যেও চললো আন্দোলন৷ তবে মাঝে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে তারা৷ অনন্য গাড়ির সাথে আটকে যায় বিএসএফ এর গাড়ি ও৷ সেনা জওয়ানরা বার বার তাদের বুঝাতে চেয়েছিল পরে ছাত্ররা ধস্তাধস্তি শুরু করলে সরে যায় সেনা জওয়ানরা৷ পরে অবশ্য ছাত্রদের বুঝালে তারা সেনা গাড়ি গুলি ছেড়ে দেয়৷ বেলা ১০.৩০ মিনিট থেকে বাঘন সুকলের ছাত্র ছাত্রীরা প্রথমে সুকলের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেও ১১টা নাগাদ তারা পায়ে হেটে চলে আসে প্রেমতলা তিমাথায়৷ সেখানে কদমতলা -চুরাইবাড়ি প্রধান সড়ক, প্রেমতলা -ফুলবাড়ি ভায়া ধর্মনগর সড়ক এবং ২০৮ এ জাতীয় সড়কটি একসাথে অবরোধ করে৷ টায়ার পুড়িয়ে হয় প্রতিবাদ ছাত্রদের হাতে ছিল লাঠি৷ গাড়ি চালকরা আজ রিতিমতো ছাত্রদের উগ্র রুপ দেখে ভয় পেয়েছে৷ অবরোধের খবর পেয়ে ব্লক চেয়ারম্যান সুব্রত দেব ছুটে আসলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়৷ তিনি লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবেন বললেও ছাত্র ছাত্রীরা মানেনি৷ তার মাঝে চলে চেয়ারম্যান গো ব্যাক শ্লোগান৷দুই থানার পুলিশ, চেয়ারম্যান, বিডিও সহ এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা তৃণমুল নেতা ফকর উদ্দিন, কংগ্রেস নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আব্দুল খালেক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কারোই কথা শুনেনি ছাত্র ছাত্রীরা৷তাদের দাবি ছিল এসডিম নয়ত জেলা শাসককে আসতে হবে৷ এর আগে লিখিত দাবী তারা জানিয়ে ছিলো৷ পরে ছুটে আসেন পূর্ত দপ্তর ইঞ্জিনিয়ার, ডিসিএম সহ অনন্য আধিকারিকরা৷ এলাকার অভিবাবক, রাজনেতা অফিসার গণ মিলে একমাসের ভিতরে রাস্তা নির্মাণ হবে এবং সংস্কারের কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বলে আশ্বাস দিলে ছাত্ররা অবরোধ তুলে৷ তারা হুমকি দিয়েছে কথার খেলাপ হলে ফের তারা আন্দোলনে নামবে৷
2022-08-17