নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ আগস্ট৷৷ গত দুইমাস ধরে চুরাইবাড়ি থানা এলাকায় চুরির হিড়িক পড়েছে৷ চুরের দল গাড়ির ব্যাটারি, বাড়ি ঘরের জলের মোটর, গাড়ি থেকে তেল এবং চাকা খুলে নিয়ে যাচ্ছে৷ অবশেষে স্থানীয় জনতার হাতে ধৃত দুই চোর৷ সারাদিন চুরাইবাড়ি থানার দৌড়ঝাঁপ৷ সন্দেহমুলক আরো দুই চোরকে আটক করে পুলিশ৷ চুরাইবাড়ি এলাকার মানুষের রাত্রি বেলা নিদ্রা হারাম চোরের দলের জন্য৷ নাজিম উদ্দীন (২২) পিতা ওয়ারিচ আলীকে আটক করার পর সে স্থানীয় জনতাকে জানায় আলি হোসেন (৩৭) পিতা আব্দুল রহিমের কাছে চোরির মাল গুলি বিক্রি করে৷ জনতা আলি হোসেনকে উত্তম মাধ্যম দেওয়ার পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয় গাড়ির ব্যাটারি৷ তাছাড়া তার কাছ থেকে টায়ার, মোটর সহ তেলের ড্রাম পাওয়া যায়৷ উভয়ই পূর্ব চুড়াইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা৷ পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে এসে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়৷ এস আই বিনোদ দেববর্মা জানান চোর চক্রদের ধরতে এলাকাবাসীর সাহায্য চেয়েছিলো পুলিশ৷ গাড়ির মালিকরা রাতে পাহারা দিতে থাকে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী হাতে নাতে ধরা পড়ে চোর৷ সোমবার এই দুই অভিযুক্তকে আদালতে প্রেরণ করা হবে৷ সন্দেহ মুলক আরো দুই জনকে থানায় আনা হয়েছে তাদের ও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে৷ এদিকে চোর আটক হওয়াতে চুরাইবাড়ি থানা এলাকার মানুষ তাদের কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি রাখছেন৷ থানায় লিখিত মামলা হয়েছে৷ চুরাইবাড়ি রেলওয়ে তিমাথা থেকে স্টেশন এলাকায় ড্রাগসের রমরমা বাণিজ্য চলছে৷ উঠতি কিছু যুবকরা নেশার টাকা জোগাতে গিয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে৷ চোরি যাওয়া গাড়ির ব্যাটারির এক মালিক জানালেন নেশার টাকা জোগাতেই নাকি চোরি কান্ড সংগঠিত হয়৷ এই চোর চক্রে সক্রিয় অনেক সদস্য আছে৷ আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা লরি গুলি থেকে তেল চোরি সহ বহু কান্ডে এরা জড়িত৷ চুরাইবাড়ি থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে মানুষ প্রশ্ণ তুলছে৷ পুলিশ বাবুরা যতই বলাবলি করুন না কেন এই চোর চক্রের সব পান্ডাদের না ধরলে মানুষ প্রশ্ণ কিন্তু তুলতে বাধ্য৷ রাতের বেলায় ইলেক্ট্রিক ট্রান্সফামারের গ্যাং কেটে চোরি কান্ড সংগঠিত করার কান্ডে এরাই জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান৷ চোরের উপদ্রবে চুরাইবাড়ি থানা এলাকার মানুষ শান্তি মতে ঘুমতেও পারছেন না৷ এবার দেখার বিষয় পুলিশ এই চোর চক্রের বাকি পান্ডাদের ধরতে পারে কিনা৷